লাইফ স্টাইল

যেভাবে দীর্ঘদিন ডিম সংরক্ষণ করবেন

যেভাবে দীর্ঘদিন ডিম সংরক্ষণ করবেন

সকালের নাস্তা থেকে শুরু করে রান্নার জন্য ডিম সবারই পছন্দ। বিশেষত প্রোটিনের সবচেয়ে ভালো উৎস এটি। শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক, সবার জন্য ডিম খুব উপকারি ও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার। এতে থাকা প্রোটিন, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে সুস্থ থাকতে সহায়তা করে।

প্রতিদিনের ঝামেলা এড়াতে অনেকেই বাজার থেকে একসঙ্গে অনেক ডিম কিনে তা সংরক্ষণ করেন। কিন্তু অতিরিক্ত গরমে ডিম নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। ডিম সাধারণত শীতে ৭-১০ দিন এবং গরমের সময় ৩-৪ দিনের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যায়।তবে সঠিক পদ্ধতিতে ডিম বেশ অনেকদিন সংরক্ষণ করা যায়। ঘরোয়া এমন কিছু উপায় রয়েছে, যা সহজেই ডিম সংরক্ষণের সমাধান দেবে।

১. নরমাল ফ্রিজে রাখা : ডিম সংরক্ষণের সবচেয়ে সহজ ও প্রচলিত পদ্ধতি হল নরমাল ফ্রিজে রাখা। ভালোমতো ধুয়ে নরমাল ফ্রিজে ডিম ছয় থেকে আট সপ্তাহের জন্য সংরক্ষণ করা যায়।২. সেদ্ধ করে ডিপে রাখা : ডিম অনেক দিন ধরে সংরক্ষণ করতে চাইলে সেদ্ধ করে ডিপ ফ্রিজে রাখা যায়। এ ক্ষেত্রে সব সময় এয়ার টাইট (বায়ুরোধী) পাত্র ব্যবহার করা উচিত। কারণ অনেক সময় সেদ্ধ ডিম ফ্রিজে রাখলে দুর্গন্ধ হতে পারে। তবে ডিপে রাখা সেদ্ধ ডিম খাওয়ার আগে অবশ্যই নরমাল তাপমাত্রায় এনে গরম করে খাওয়া উচিত।

৩. কাঁচা ডিম ডিপে রাখা : যে ডিমগুলো সংরক্ষণ করতে চান সেগুলো পরিষ্কার একটি পাত্রে নিয়ে ফাটিয়ে নিন। ডিমগুলিতে সামান্য একটু লবণ মিশিয়ে নিন। এ বার এই ডিমের মিশ্রণকে ছোট ছোট পাত্রে ভরে ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন।এ ছাড়া বরফ জমানোর ট্রের মধ্যে আইস কিউবের মতো করেও সংরক্ষণ করা যেতে পারে। এই পদ্ধতিতে ডিম দীর্ঘদিন ভালো থাকে।

৪. চুন পানিতে ডিম সংরক্ষণ : অনেকে চুনের পানিতে ডিমকে ডুবিয়ে রেখেও সংরক্ষণ করে থাকে। এ পদ্ধতিতে প্রায় এক কেজি পানিতে ২৮ গ্রাম চুন মিশিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিতে হয়। এরপর এই মিশ্রণে ডিম সংরক্ষণ করা হয়। এই পরিমাণ মিশ্রণে এক ডজন ডিম সংরক্ষণ করা যায়।৫. তেল দ্বারা সংরক্ষণ : এ পদ্ধতিতে বর্ণ, স্বাদ ও গন্ধহীন নারিকেল বা সয়াবিন তেল ব্যবহার করা হয়। তেলে ডিমগুলো ডুবিয়ে পরে অন্য পাত্রে উঠিয়ে রাখা হয়। ডিম পাড়ার পর পরই এ পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করতে হয়। এভাবে প্রায় এক মাস পর্যন্ত ডিমের গুণাগুণ অক্ষুণ্ণ রাখা সম্ভব।