2 May 2024 , 11:29:08 প্রিন্ট সংস্করণ
নালির মাধ্যমে ত্বকের উপরিভাগে, অর্থাৎ শরীরের বাইরে চলে আসে। গরমের সময় অতিরিক্ত ঘামের চাপে ঘর্মগ্রন্থি কিংবা ঘাম শরীরের বাইরে বহনকারী সেই নালিটিই ফেটে যায় এবং ত্বকের নিচে ঘাম জমতে থাকে। ত্বকের নিচে জমে থাকা এই ঘামই ঘামাচি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ঘামাচির বেশ কয়েকটি ধরন রয়েছে। ঘামাচি সৃষ্টির কারণে শরীর থেকে ঘাম ঠিকভাবে বেরিয়ে আসতে পারে না।
সেইসঙ্গে শরীরে সৃষ্ট বাড়তি তাপ বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াও বাধাগ্রস্ত হয়। এতে গরম আরো বেশি অনুভূত হয়, মাথা ঘোরায়, মাথাব্যথা করে, বমিভাব হয়, জ্বর জ্বর লাগে। সেইসঙ্গে শরীর চুলকাতে থাকে। চুলকাতে চুলকাতে ঘামাচিতে ইনফেকশন হয়ে একজিমার আকার ধারণ করে। অনেক সময় ঘামাচি বড় হয়ে ফোঁড়ায় রূপান্তরিত হয়। উল্লেখ্য, ঘামাচি কখনো লোমের গোড়াকে আক্রান্ত করবে না।
ঘামাচি হলে করণীয়
• ঠান্ডা পরিবেশে থাকতে হবে। তাই প্রচলিত আছে, ঝিরঝিরে বৃষ্টিতে গোসল করলে ঘামাচি সেরে যায়। ঘরে এয়ারকন্ডিশনার থাকলে ভালো হয়, তবে ফ্যানের বাতাসও উপকারী।
• দিনে কয়েকবার ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করা যেতে পারে।
• বেবি ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করা যেতে পারে।
• ঢিলেঢালা সুতির জামাকাপড় পরতে হবে।
• ক্যালামিলন লোশন ঝাঁকিয়ে ঘামাচি আক্রান্ত শরীরে ঘণ্টাখানেক ধরে লাগিয়ে রেখে সেটি ধুয়ে ফেলতে হবে। এ রকম তিন-চার দিনের বেশি করা যাবে না।
• ঘামাচিতে লাল ভাব দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো কিছুদিন কিউরিল অয়েনমেন্ট দিনে দুবার করে ব্যবহার করে উপকার পাওয়া যেতে পারে।
• আর যদি ফোঁড়া হয়ে যায়, তখন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ মুখে খেতে হবে।