30 August 2023 , 3:15:48 প্রিন্ট সংস্করণ
নববধূর হাতের মেহেদীর রং এখনও শুকাইনি। নববধূ জেমি আক্তারকে রাতে বিয়ে করে বাড়ি নিয়ে আসেন জাকারিয়া হোসেন (২০)। সকালে উঠে কর্মস্থল থেকে নিজের কাপড় চোপড় আনতে যায়। কিন্তু কে জানত, এই যাওয়ায় শেষ যাওয়া! আর কখনও ফেরা হবে না বাড়ি, একবারের জন্য দেখা হবে না প্রিয়তমা নববধূ মুখ। এমনই এক হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার বাড়ইল কুটিপাড়া গ্রামে।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) সকালে বগুড়া-নওগাঁ সড়কের কাহালু উপজেলার বারোমাইল নামক স্থানে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ওই যুবকের মৃত্যু হয়।কাহালু থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদ হাসান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।জাকারিয়ার এমন আকস্মিক মৃত্যু নাড়া দিয়েছে স্ত্রী, বাবা-মা ও প্রতিবেশীদের হৃদয়ে। নতুন শ্বশুরবাড়ি এবং এলাকায় চলছে শোকের মাতম। এমন মৃত্যু যেন কোনোভাবেই মানতে পারছে না এলাকাবাসী।
মৃত জাকির হোসেন ক্ষেতলাল উপজেলার মাহমুদপুর বাড়ইল গ্রামের রেজাউল ইসলামের ছেলে।পরিবার ও স্থানীয়সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার রাতে জাকারিয়া হোসেনের সাথে একই উপজেলার পৌর এলাকার বুড়াইল গ্রামের আব্দুর রহিমের স্কুল পড়ুয়া মেয়ে জেমি আক্তারের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। সকালে তার কর্মস্থল দুপঁচাচিয়ার জোগারপাড়া টাইলস মিলে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে বের হয়।
মোটরসাইকেলটি কাহালু উপজেলার বারোমাইল নামক স্থানে পৌঁছলে সামনে থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা খায়।এ সময় মোটরসাইকেল চালক জাকারিয়া মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পাকা রাস্তায় পরে গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে নিকটস্থ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।মামুদপুর ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান শামীম বলেন, গতকাল রাতেই তাদের বিয়ে হয়েছে।
নববধূর হাতের রং শুকানোর আগেই বিধবা হলেন। বিষয়টি সত্যিই হৃদয় বিদারক। আমি তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।এ বিষয়ে কাহালু থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদ হাসান বলেন, নিহত ওই যুবক মোটরসাইকেল নিয়ে বারোমাইল এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মারা যান। নিহতের পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় তাদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।