সারা দেশ

আবারও বিয়ের দাবিতে পুলিশ সদস্যের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন

আবারও বিয়ের দাবিতে পুলিশ সদস্যের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন

নাটোরের বাগাতিপাড়ায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিক পুলিশ সদস্যের বাড়িতে অবস্থান করছে ভুক্তভোগীর এক কলেজছাত্রী।গত ২৮ আগস্ট সকাল থেকে এ অনশন শুরু করেন তিনি। আলোচিত এ ঘটনা ঘটেছে উপজেলার পাঁকা-সোলইপাড়া গ্রামের প্রেমিক পুলিশ সদস্য রাজিকুল ইসলাম পাপ্পুর বাড়িতে। রাজিকুল ওই গ্রামের মোস্তফা ইসলামের ছেলে।

আর ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী একই উপজেলার গালিমপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি নবাব সিরাজউদ্দৌলা সরকারি কলেজের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অনার্স প্রথমবর্ষের ছাত্রী। এদিকে বিয়ের দাবিতে প্রেমিক পাপ্পুর বাড়িতে অবস্থান করায় বাড়ির লোকজন ওই কলেজছাত্রীসহ তার মামিকে ব্যাপক মারধর করে। এ সময় তাদের সঙ্গে মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়।

ভুক্তভোগী ওই তরুণী জানান, প্রায় ৯ মাস আগে রাজিকুল ইসলাম পাপ্পুর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। একপর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক রূপ নেয় দৈহিক সম্পর্কে। কয়েকদিন আগে সে বিয়ের জন্য চাপ দেয় প্রেমিক পাপ্পুকে, কিন্তু সে বিয়েতে রাজি না হয়ে নানা টালবাহানা শুরু করে।

একপর্যায়ে যোগাযোগ বন্ধ করে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের দিয়ে টাকা দিয়ে আপসের চেষ্টা করে। বাধ্য হয়ে গত সোমবার সকাল থেকে সে প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করে। এরপর রাজিকুল ইসলাম পাপ্পু ফোন করে পরিবারের লোককে তাকে হত্যার নির্দেশ দেয়, তখন তারা তাকে মেরে বাড়ি থেকে বেড় করে গেট বন্ধ করে দেয়।

পরে গেটের সামনেই অনশন চালিয়ে যেতে থাকে সে। খবর পেয়ে ভুক্তভোগীর মামি তাকে দেখতে গেলে মামিকেও মারধর করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।অভিযুক্ত রাজিকুল ইসলাম পাপ্পু তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ সঠিক নয় দাবি করে তিনিও আইনগত ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) হেলাল উদ্দিন বিয়ের দাবিতে পুলিশের বাড়িতে প্রেমিকার অনশনের কথা স্বীকার করে বলেন, আমরা উভয়পক্ষকে নিয়ে বসে আপস মীমাংসা করার চেষ্টা করলেও এর সমাধান করতে পারিনি। তাই মেয়েটা একরকম নিরুপায় হয়েই এমনটা করেছে বলে জানান তিনি।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সোহানুর রহমান বলেন, ভুক্তভোগী চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে গেলে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে ফের তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।এ বিষয়ে বাগাতিপাড়া মডেল থানার ওসি শফিউল আযম খাঁন জানান, মারামারির ঘটনাটি শুনেছি। এ বিষয়ে কলেজছাত্রীর পক্ষে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন তার মামি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।