খেলাধুলা

বাংলাদেশ দিল্লিকা লাড্ডুর খোঁজে

দিল্লিকা লাড্ডু—প্রবাদ বাক্যটির সঙ্গে এখন বাংলাদেশের দারুণ মিল পাওয়া যাবে। সাত ম্যাচের ছয়টিতে হারা বাংলাদেশের হারলেও বিপদ, জিতলেও আছে প্রশ্নের ধকল। হারলে শেষ হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্বপ্ন। আর জিতলে কষ্ট দেবে নেদারল্যান্ডসের মতো দুর্বল প্রতিপক্ষের সঙ্গে হারার যন্ত্রণা। সব মিলিয়ে বাংলাদেশকে খুঁজতে হচ্ছে ‘দিল্লিকা লাড্ডু’।

কিছুদিন বিরতির পর ফের দিল্লিতে ফিরেছে বিশ্বকাপ। তবে এবার খেলার চেয়ে বেশি আলোচনায় সেখানকার আবহাওয়া। সংবাদ সম্মেলনেও একই প্রশ্নের সম্মুখীন বাংলাদেশের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। একই ধরনের প্রশ্নের মুখে পড়েছেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক কুশাল মেন্ডিস। বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর মধ্যে এখন অন্যতম দিল্লি। বাংলাদেশ দুদিন অনুশীলন করলেও লঙ্কানরা করতে পেরেছে মোটে এক দিন।

বায়ুদূষণে এক দিন হোটেলে বন্দি সময় কেটেছে তাদের। দিল্লিতে আজ দুপুর আড়াইটার ম্যাচটিতে সেজন্যই দুদলের প্রতিপক্ষ আবহাওয়াও। বাংলাদেশ কোচের মতে, ‘বাতাসের কোয়ালিটি দুই দলের জন্যই তো সমান।বাতাসের মতো বিশ্বকাপে দুই দলের পারফরম্যান্স কোয়ালিটিতেও খুব বেশি পার্থক্য নেই। ব্যর্থতায় ধুঁকতে থাকা শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটেও শুরু হয়েছে অস্থিরতা। বাংলাদেশ দলের অস্থিরতা তো ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সেই। একের পর এক ম্যাচে ব্যর্থতাই সঙ্গী হচ্ছে সাকিব আল হাসানদের।

টুর্নামেন্টে বিশেষ কিছু করার আশা আগেই ফুরিয়ে গেছে। এবার তাদের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে জায়গা করে নেওয়া। এর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এ ম্যাচ। লঙ্কানদের হারাতে পারলেই সুযোগ হতে পারে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। অন্যথায় আরও একটি টুর্নামেন্টে খেলার স্বপ্ন ফিকে হয়ে যাবে সাকিব-মুশফিকদের।পয়েন্ট টেবিলে এখন বাংলাদেশের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়ে শ্রীলঙ্কা। দুই জয়ে এমন অর্জন কুশালদের। তবে তাদের ছোঁয়ার দারুণ সুযোগ আছে সাকিবদের। দিল্লিতে লঙ্কানদের হারাতে পারলেই পয়েন্ট টেবিলের ওপরে ওঠার সুযোগ পাবে বাংলাদেশ।

থাকবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার দারুণ সুযোগও। বাংলাদেশ কোচের ভাবনায় তাই চ্যাম্পিয়ন ট্রফি, ‘আমরা এখনো মনে করি, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলার সুযোগ আমাদের আছে।’ সুযোগ অবশ্যই আছে। সেজন্য প্রথম চ্যালেঞ্জ শ্রীলঙ্কা।ভারতের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণের পর ঘুরে দাঁড়ানোটা কঠিন চ্যালেঞ্জ হতে পারে লঙ্কানদের। ৩৫৭ রান তাড়া করতে গিয়ে লজ্জাকর রেকর্ড সঙ্গী হয়েছে তাদের। মাত্র ৫৫ রানে গুঁড়িয়ে যাওয়া লঙ্কানদের সামনে তাই বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়ানোর সহজ প্রতিপক্ষও। বিশ্বকাপে রান হয়েছে, এমন উইকেটগুলোর মধ্যে দিল্লি অন্যতম। এখানে প্রচুর রান হতে দেখা যায়। বাংলাদেশ পেসারদের সামলে শ্রীলঙ্কা কতটা সফল হবে, সেটাই দেখার বিষয়।

অবশ্য তাদের বোলিং বিভাগের বাড়তি শক্তি দুর্দান্ত ছন্দে থাকা দিলশান মধুশঙ্কা হতে পারেন বাংলাদেশের বড় শঙ্কা।শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওপেনিংয়ে ভিন্ন কম্বিনেশন আনতে পারে বাংলাদেশ। স্পিন ভালো খেলায় লিটন দাসের সঙ্গী হতে পারেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এশিয়া কাপে লঙ্কান স্পিনার মহেশ থিকসানাকে দারুণভাবে সামলেছিলেন তিনি; এবারও একই দায়িত্ব পড়তে পারে তার কাঁধে। বিশেষ করে তানজিদ হাসান তামিমের অনভিজ্ঞতা ও পারফরম্যান্সহীনতার জন্যই এমন সিদ্ধান্তে যেতে পারে টিম ম্যানেজমেন্ট।