আন্তর্জাতিক

গাজায় খাদ্য-জ্বালানি-পানি ঢুকতে দিতে হবে বললেন জাতিসংঘ

শনিবার (৭ অক্টোবর) ভোরে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের অতর্কিত হামলার পর গত রোববার থেকে গাজার ওপর ‘সর্বাত্মক অবরোধ’ জারি করেছে ইসরায়েল। গাজাকে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন করার পাশপাশি অবরুদ্ধ এই অঞ্চলে খাদ্য বা জ্বালানি কোনো কিছুই প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োয়াভ গালান্ট।

কিন্তু ইসরায়েলের এই সিদ্ধান্তের সাথে একমত নয় মানবাধিকার সংস্থা জাতিসংঘ। যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় খাদ্য, জ্বালানি এবং পানির মতো জীবন রক্ষাকারী জিনিস প্রবেশ করার অনুমতি দিতে হবে বলে সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে বলেন সংস্থাটির মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস।

ইসরায়েলের গাজার সম্পূর্ণ অবরোধ জাতিসংঘের আইন অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচিত। এই সর্বাত্মক অবরোধকে যুদ্ধাপরাধ ও আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে জাতিসংঘ।সংস্থাটির মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার ভল্কার তুর্ক মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেন, গাজা উপত্যকার মানবিক পরিস্থিতি এমনিতেই খারাপ ছিল। ফলে সর্বাত্মক অবরোধ আরোপে সেখানকার পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে পড়বে।

এদিকে গাজায় বসবাসকারী ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের মৌলিক চাহিদা থেকে বঞ্চিত করার ইসরায়েলের সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে বলে মন্তব্য করেছেন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সাবেক প্রধান কেনেথ রথ।রথ আরও জানান, ইসরায়েলের হামাসের হামলার কারণে ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে “প্রতিশোধ” এবং “সম্মিলিত শাস্তিকে” সমর্থন করা যায় না।

এই ধরনের নির্বিচার এবং অসামঞ্জস্যপূর্ণ আক্রমণ নিজেই একটি যুদ্ধাপরাধ বলে জানান তিনি।এদিকে বুধবার (১২ অক্টোবর) জ্বালানির অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে গাজার একমাত্র বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন। এর ফলে অন্ধকারে ডুবে গেছে হামাস-নিয়ন্ত্রিত এলাকাটি। স্থানীয় সময় দুপুর ২টার দিকে বাসিন্দারা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হওয়ার চূড়ান্ত সতর্কবার্তা পান। এর এক ঘণ্টা পরেই অন্ধকার হয়ে যায় সব কিছু।

আরও খবর

Sponsered content

%d bloggers like this: