9 January 2024 , 4:23:24 প্রিন্ট সংস্করণ
সিরিয়ায় ইরানের সঙ্গে সম্পর্কিত মাদক চোরাচালানিদের কথিত খামার ও আস্তানায় বিমান হামলা চালিয়েছে জর্ডান। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) জর্ডানি জঙ্গি বিমানগুলো জর্ডান-সিরিয়া সীমান্ত সংলগ্ন সিরিয়ার সুইদা প্রদেশে চারবার হামলা চালায় বলে আঞ্চলিক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা রয়টার্সকে জানিয়েছেন। এই নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে সিরিয়ায় দ্বিতীয়বারের মতো এ ধরনের হামলা চালাল জর্ডান।
গত মাসে সিরিয়া সীমান্তে জর্ডানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে কয়েক ডজন লোকের সংঘর্ষ হয়েছিল। এই সশস্ত্র ব্যক্তিদের সঙ্গে ইরানপন্থি মিলিশিয়াদের সম্পর্ক আছে বলে সন্দেহ করা হয়। এরা জর্ডান সীমান্ত দিয়ে অস্ত্র ও বিস্ফোরকসহ মাদকের বড় ধরনের চালান পাচার করছিল।জর্ডান ও তার পশ্চিমা মিত্ররা চোরাচালান বৃদ্ধির পেছনে লেবাননের ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহ ও অন্যান্য ইরানপন্থি মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলো আছে বলে অভিযোগ করেছে।
এসব গোষ্ঠীগুলোর জর্ডান সংলগ্ন সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের অধিকাংশ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে।ইরান ও হিজবুল্লাহ এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে এগুলো সিরিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমাদের ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছে। সিরিয়া ইরানপন্থি মিলিশিয়াদের সহযোগিতা করার কথা অস্বীকার করেছে।সিরিয়ার ইন্টারনেটভিত্তিক সংবাদপত্র সুওয়ায়দা টোয়েন্টিফোর জানিয়েছে, জর্ডান-সিরিয়া সীমান্তের কাছে সুইদা প্রদেশের শাব ও আরমান শহরে নেতৃস্থানীয় মাদক কারবারিদের লক্ষ্য করে তিনটি হামলা চালানো হয়।
চতুর্থ হামলাটি চালানো হয় মালাহ গ্রামের কাছে একটি খামারে।গোয়েন্দা কর্মকর্তারা সুওয়ায়দার প্রতিবেদনের এই খবর নিশ্চিত করেছেন, জানিয়েছে রয়টার্স। এর আগে গত বৃহস্পতিবার জর্ডান সুইদা একই এলাকায় আরেকটি বিমান হামলা চালিয়েছিল। সুইদা থেকেই অধিকাংশ আন্তঃসীমান্ত চোরাচালান পরিচালিত হয় বলে ধারণা ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের।
সুওয়ায়দা টোয়েন্টিফোর এর সম্পাদক, নাগরিক আন্দোলন কর্মী ও গবেষক রায়ান মারুফ বলেছেন, চোরাচালান হয়ে সীমান্ত পার হওয়ার আগেই যেখানে মাদক গুদামজাত করে রাখা হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছিল সেখানে হামলা চালিয়েছে জর্ডান। দেশটি মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে তাদের লড়াই জোরদার করেছে বলে সর্বশেষ হামলায় ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রগুলোর বরাত দিয়ে সুওয়ায়দা টোয়েন্টিফোর জানিয়েছে, জর্ডানের বিমান হামলায় স্থানীয় নেতৃস্থানীয় এক মাদক কারবারিসহ তিনজন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।নিরাপত্তা বাড়াতে জর্ডানকে সামরিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। জর্ডানের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০১১ সালে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে সীমান্ত পোস্ট গড়ে তোলার জন্য ডর্জানকে এ পর্যন্ত প্রায় এক বিলিয়ন ডলার দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।