9 October 2023 , 2:32:12 প্রিন্ট সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা জেলার বাড়াদি সীমান্ত থেকে সাড়ে ৯ কোটি টাকার ৮৮০ ভরি ওজনের ৬৮টি স্বর্ণের বারসহ মিরাজ হোসেন (২২) নামের এক চোরাকারবারির মরদেহ উদ্ধার করেছে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি।
রোববার (৮ অক্টোবর) রাত ৯টায় চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, রোববার বিকেল ৪টার দিকে দর্শনা বাড়াদি সীমান্তের মাথাভাঙ্গা নদী থেকে স্বর্ণের বারসহ তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মিরাজ হোসেন (২২) দর্শনা নাস্তিপুর গ্রামের ইয়াসিন আলীর ছেলে।চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, বাড়াদি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে স্বর্ণেরবার চোরাচালান হবে। খবর পেয়ে বারাদী বিওপির টহলদল সীমান্ত এলাকায় টহল তৎপরতা জোরদার করাসহ কড়া নজরদারি বৃদ্ধি করে।
আনুমানিক বিকেল ৪টায় টহলদল খবর পায় ২ চোরাকারবারি স্বর্ণসহ সীমান্ত পিলার ৮০/১-আর এর কাছ দিয়ে মাথাভাঙ্গা নদী পার হয়ে ভারতে যাওয়ার সময় বাংলাদেশের ভেতরে নদীতে এক চোরাকারবারি পানিতে ডুবে গেছে এবং অপরজন নদী থেকে উঠে পালিয়ে গেছে। বারাদী বিওপি কমান্ডার নায়েব সুবেদার জাকির হোসেন টহল দল নিয়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত উপস্থিত হয়ে স্থানীয় জনসাধারণের প্রচেষ্টায় ডুবে যাওয়া চোরাকারবারিকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন।
এসময় বিজিবি টহল দল মৃত চোরাকারবারির শরীরে অভিনব কায়দায় লুকায়িত অবস্থায় ১০ কেজি ২৬৩ গ্রাম (৮৭৯.৮৮ ভরি) ওজনের ছোট বড় ৬৮টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করতে সক্ষম হন। জব্দ করা এসব স্বর্ণের বারের আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৯ কোটি ২০ লাখ টাকা। পরবর্তীতে মৃত ব্যক্তির নাম পরিচয় শনাক্ত করা হয় এবং জানা যায় সে স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত।
তিনি আরও জানান, উদ্ধার করা স্বর্ণের বার গুলি চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারী অফিসে জমা করে এবং পরবর্তী আইনগত কার্যক্রম সম্পন্ন শেষে মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।