সারা দেশ

আবারও ত্রিশালে গোখাদ্য হিসাবে নেপিয়ার জাতের ঘাসের চাহিদা বৃদ্ধি

আবারও ত্রিশালে গোখাদ্য হিসাবে নেপিয়ার জাতের ঘাসের চাহিদা বৃদ্ধি

গবাদি পশুর প্রধান খাদ্য ঘাস।পুষ্টিকর ঘাসে গরুর দেহ গঠনকারী আমিষ উপাদানসহ নানা ধরনের উপাদন মজুদ থাকে এই ঘাসে। বিভিন্ন জাতের ঘাসের মধ্যে নেপিয়ার অন্যতম। বর্তমান সময়ে কৃষদের পর্যাপ্ত গোখাদ্য খড় না থাকার ফলে এবং পাশাপাশি দাম বৃদ্ধি কারণে গরুর খামারিরা নেপিয়ার জাতের ঘাস চাষ করছেন।এই ঘাস গাছটি আঁখ গাছের মতো লম্বা হয়।কিছুটা দেখতে অবিকল ছন গাছের মতো। দেশি-বিদেশি জাতের গবাদি পশুর নিকট এটি তাদের প্রিয় খাদ্য।

ময়মনসিংহের ত্রিশাল পৌর এলাকা সহ উপজেলার বারোটি ইউনিয়নে খামারিরা খড়ের সংকট কমাতে এই ঘাসের চাষ করছেন।সরেজমিনে দেখা যায়, ত্রিশাল পৌরসভার নওধার এলাকার খামারি খায়রুল বাশার নেপিয়ার ঘাস চাষ করেন। চাহিদা মিটিয়ে অন্য খামারিদের নিকট বিক্রি করে তিনি স্বাবলম্বী হয়েছেন। চারা রোপনের তিন মাস পর ঘাস বিক্রির উপযোগী হয়ে থাকে।বর্তমানে তার দেখাদেখি অনেকেই নেপিয়ার চাষ করছেন।

স্থানীয়রা জানান, পতিত উঁচু জমিতে বিদেশি জাতের নেপিয়ার ঘাস চাষের ভালো ফলন পাওয়া যায়।খড়ের পরিবর্তে নেপিয়ার ঘাস অনেক খামারি এখন গবাদিপশুকে খাওয়াতে দেখা যায়। কৃষক খায়রুল বাশার জানান, তিনি পাঁচ বছর যাবত নেপিয়ার চাষ করেন। তার গবাদি পশুর চাহিদা মিটিয়ে বাকি ঘাস গুলো বিক্রি করে দেন। কৃষক বিল্লাল হোসেন বলেন, গাভীকে নেপিয়ার ঘাস খাওয়ালে বেশি পরিমাণ দুধ দেয় এবং গবাদি পশুর স্বাস্থ্য ভালো থাকে।

গাভী পালনকারী ব্যবসায়ী আজিজুল হক বলেন, আমি কয়েক বছর ধরে খড়ের সাথে মিশিয়ে নেপিয়ার ঘাস দেয়।ত্রিশাল উপজেলা প্রাণিসম্পদ হাসপাতালে গরুর খামারিদের মাঝে বিনামূল্যে নেপিয়ার ঘাসের কাংটি বিতরণ করা হয়। গরুর খামারীরা এগুলো সংগ্রহ করে জমিতে আবাদ করে লাভবান হচ্ছেন। যতোই দিন যাচ্ছে গরুর খামারিরা এই বিদেশি জাতের ঘাস চাষের জন্যে আগ্রহ বাড়ছে।

আরও খবর

Sponsered content