বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

মহাশূন্যে পাড়ি দিচ্ছেন পাকিস্তানি প্রথম হিসেবে

প্রথমবারের মতো মহাকাশে পাড়ি দিচ্ছেন এক পাকিস্তানি নারী। তবে নভোচারী হিসেবে নয়; ধনকুবের রিচার্ড ব্রানসনের ভার্জিন গ্যালাকটিক এর স্পেস শিপে মহাশূন্যে বেড়াতে যাচ্ছেন তিনি। চলতি বছরের ৫ অক্টোবর পঞ্চমবারের জন্য মহাকাশ পর্যটনে যাবে ‘গ্যালাকটিক ০৪’ নামের নভোযান। এবার স্পেস শিপটিতে থাকবেন মোট তিনজন যাত্রী।

তাদের মধ্যে এক জন পাকিস্তানের নাগরিক। ধনকুবের ব্রানসনের সংস্থা জানিয়েছে, মহাকাশ পর্যটনে যেতে চলা পাকিস্তানি নারীর নাম নামিরা সেলিম। তার একটি নিজস্ব ওয়েবসাইট রয়েছে। ২০০৬-এ সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে তাকে পরিচয় করিয়ে দেন স্বয়ং ব্রানসন। ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, মহাকাশ পর্যটনের জন্য প্রথম দিকে যারা প্রশিক্ষণ নেন, নামিরা তাদের মধ্যে অন্যতম।

এর জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাসা সেন্টারে গিয়েছিলেন তিনি। ২০০৭-এ মহাকাশচারীর ট্রেনিং নেন নামিরা। বর্তমানে অবশ্য দুবাইতে থাকেন তিনি। সেখানকার স্পেস ট্রাস্ট নামের একটি অলাভজনক সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও এক্সিকিউটিভ চেয়ারপার্সন তিনি। ২০১৫ সালে শুরু হয় এই প্রতিষ্ঠানের পথ চলা।উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ২১ এপ্রিল প্রথম পাকিস্তানি নাগরিক হিসেবে উত্তর মেরু জয় করেন নামিরা।

এর ঠিক এক বছরের মাথায় ২০০৮ এর ১০ জানুয়ারি দক্ষিণ মেরুতে পা পড়ে তার। এই সমস্ত অভিযানের মাধ্যমে বিশ্ব শান্তির কথা বলেছেন তিনি। আগামী মাসের মহাকাশ পর্যটনে নামিরার সঙ্গী হবেন আরো দুই জন। তারা হলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রন রোসানো ও ব্রিটেনের ট্রেভর বিটি। ‘গ্যালাকটিক ০৪’ নভোযানটির চালানোর দায়িত্বে থাকছেন ভিএসএস এর ইউনিটি কমান্ডার কেলি ল্যাটিমার এবং পাইলট সিজে স্টারকো।

চলতি বছরের অগাস্ট থেকে মহাকাশ পর্যটন শুরু করেছে ধনকুবের ব্রানসনের সংস্থা ‘ভার্জিন গ্যালাকটিক’। প্রতিটি ট্রিপে মোট তিনজনকে মহাশূন্যে বেড়াতে নিয়ে যাচ্ছে সংস্থার স্পেস শিপ। বিপজ্জনক এই ট্রিপের জন্য অবশ্য দিতে হচ্ছে বিপুল অংকের টাকা। প্রসঙ্গত, মহাকাশ পর্যটনের জন্য মাথাপিছু সাড়ে চার লাখ মার্কিন ডলার নিচ্ছে ‘ভার্জিন গ্যালাকটিক’। বাংলাদেশী মুদ্রায় যা প্রায় প্রায় কোটি টাকা। ব্রানসনের সংস্থা জানিয়েছে, পর্যটকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতেই বিপুল টাকা নিচ্ছেন তারা।