22 August 2024 , 6:12:24 প্রিন্ট সংস্করণ
ভারি বর্ষণে আবারও ডুবেছে চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন এলাকা। ভয়ঙ্কর জলাবদ্ধতায় নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে তীব্র স্রোতে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকালে বন্দরের গুরুত্বপূর্ণ বহদ্দারহাট সড়কে জলাবদ্ধতায় তীব্র স্রোত দেখা যায়।
একই অবস্থা নগরী চকবাজার, মুরাদপুর, বাকলিয়ার একাংশ, দুই নম্বর গেট, কাপাসগোলা, চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ, আছাদগঞ্জ, আগ্রাবাদ, হালিশহরের বিভিন্ন অংশসহ নানা এলাকায়। এ দিকে বুধবার (২১ আগস্ট) সকাল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত জেলায় বৃষ্টি হয়েছে ১৪১ দশমিক ৮ মিলিমিটার। জানা যায়, রাত থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে।
টানা বৃষ্টিতে যেমন সারা দেশে বন্য হচ্ছে, তেমনি একইভাবে চট্টগ্রামেও বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। যদিও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ফেনী, কুমিল্লাসহ বিভিন্ন জেলায়ও ছড়িয়ে পড়েছে বন্যা। তবে চট্টগ্রামে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকাই এ জলাবদ্ধতার মূল কারণ। জলাবদ্ধতার পানি দোকানেও ঢুকে পড়েছে। এতে ব্যবসারও ক্ষতি হচ্ছে। প্রতি বছরে জেলায় বর্ষার মৌসুমে একই অবস্থার সৃষ্টি হয়।
নগরীর হাজার হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়েন। এদিকে বৃষ্টি নিয়ে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে ৯টার মধ্যে তিন ঘণ্টায় ৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। সকাল ৯টায় শুরু হয় দিনের প্রথম জোয়ার। ভাটা শুরু হবে বেলা ২টায়। এরআগে গত মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে ১২টার মধ্যে তিন ঘণ্টায় ৬০ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড হয়।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা আলী আকবর খান জানান, আজ দিনের বেলা আরও বৃষ্টি হয়ে বিকাল থেকে বৃষ্টির তীব্রতা কিছুটা কমতে পারে। তবে আরও দু’একদিন বৃষ্টি হবে। বান্দরবান ও আশপাশের এলাকায় ভারি বৃষ্টি হবে।
চট্টগ্রাম ও আশেপাশের এলাকায় ভারিবর্ষণ এবং পাহাড় ধসের সতর্কতা জারি আছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় আছে এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় আছে। এ কারণে ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে।