10 July 2024 , 4:06:35 প্রিন্ট সংস্করণ
টাঙ্গাইলে মুক্তা ক্লিনিক এন্ড হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় আকলিমা বেগম (৪২) নামে এক ভ্যানচালকের স্ত্রীর পিত্তথলির পাথর অপারেশনের সময় মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এই মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসপাতালে ভাঙচুর করে রোগীর স্বজনেরা। গত (৬ জুলাই) শনিবার বিকেলে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার হুগড়া ইউনিয়নের ধুলবাড়ী গ্রামের ভ্যান গাড়িচালক আব্দুল লতিফের স্ত্রী পেটে ব্যাথা নিয়ে টাঙ্গাইল পৌর শহরের মুক্তা ক্লিনিকে ভর্তি হন।
পরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তার পেটের পিত্তথলিতে পাথর আছে নিশ্চিত করেন ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। পরে রোববার (৭ জুলাই) ডা. ফরিদ আহমেদের তত্বাবধানে আকলিমা বেগমকে অপারেশন করার জন্য অপারেশন থিয়েটারে পাঠানো হয়।অপারেশনের ৬ ঘন্টা পরও যখন রোগীর জ্ঞান ফিরে না তখনি রোগীর সাথে থাকা স্বজনদের সন্দেহ হয়।
এ সময় স্বজনরা জানতে চাইলে ডা. ফরিদ জানান, অপারেশন টেবিলে রোগী স্ট্রক করেছে তাকে রেফার্ড করতে হবে। এরপর ঐ দিনই রোগীকে ঢাকা এনাম মেডিকেলে রেফার্ড করা হয় বলে জানায় স্বজনেরা।এ বিষয়ে নিহত আকলিমার স্বামী বলেন, এনাম মেডিকেলের চিকিৎসা ব্যয়ভার আমার পক্ষে বহন করা সম্ভব না। এরপরও তারা এক প্রকার জোর করে এনাম মেডিকেলে পাঠায়।
এনামে যাওয়ার সাথে সাথে রোগীকে আইসিইউতে ভর্তি করেন তারা। পরে আজ মঙ্গলবার (৯ জুলাই) রোগীকে মৃত ঘোষণা করে এনাম মেডিকেলে কতৃপক্ষ।স্বজনদের দাবি রোগী মুক্তা ক্লিনিকেই মারা গেছে, বাকিটা তারা নাটক সাজিয়েছে। আমরা ডা. ফরিদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করছি। এ ব্যাপারে ডা. ফরিদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।
এদিকে ক্ষিপ্ত হয়ে ক্লিনিকে ভাঙ্গচুর করে রোগীর স্বজনেরা পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন তোফা ঘটনাস্থলে আসেন এবং রোগীর স্বজনদের সুষ্ঠ বিচার পাইয়ে দেওয়ার আশা প্রকাশ করলে পরিবেশ শান্ত হয়।এ প্রসঙ্গে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন তোফা জানান, আগামীকাল বুধবার (১০ জুলাই) এশার নামাজেরপর বিষয়টি নিয়ে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের সাথে বসা হবে বলে জানান তিনি।