14 February 2024 , 5:33:09 প্রিন্ট সংস্করণ
স্বামীকে তালাক দিয়ে সমকামী বান্ধবীকে ভালোবেসেছেন বরিশালের মুলাদী উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের কুয়েত প্রবাসী সহিদুল ইসলামের মেয়ে কলেজ ছাত্রী মিম আক্তার। দফায় দফায় চেষ্টার পর অবশেষে তৃতীয়বার সমকামী বান্ধবীর সাথে পালিয়ে গিয়ে সংসার বাধেন তিনি। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। অবশেষে মায়ের দায়ের করা অপহরণ মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন তার সমকামী বান্ধবী রোবার লিজা।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা থেকে কলেজ ছাত্রী মিমসহ তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) তাদেরকে বরিশালের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক বেগম সুমাইয়া রিজভী মৌরী সমকামী বান্ধবী লিজাকে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন। আর লিজাকে ছেড়ে পরিবারের সাথে যেতে আপত্তি জানালে কলেজ ছাত্রী মিমকে পাঠানো হয়েছে সেভ হোমে।এমন ঘটনায় বরিশাল আদালত প্রাঙ্গণে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
মিমের বোন ফাতিমা জানিয়েছেন, তার বোনের সাথে ঢাকার হাজারিবাগ এলাকার সংকর জাফরবাদ ২৮৩/১ এর ইসলাম মঞ্জিলের মোজাম্মেল হকের মেয়ে রোবার লিজার সাথে ফেসবুকে পরিচয় থেকে প্রেম হয়। তারপর থেকেই কোন ছেলেকে বিয়ে করতে রাজি হতো না মিম। বরং রোবার লিজাকে বিয়ে করবে বলে বায়না ধরে। আর এজন্য পাঁচ বছর আগে বিয়ে হওয়া স্বামীকেও তালাক দেয় মিম। কিছুদিন আগে মিমদের বাড়িতে বেড়াতে যান লিজা। এর কদিন পরেই লিজার সাথে পালিয়ে যায় মিম।
তখন পুলিশের সহযোগিতায় মিম উদ্ধার হলেও দ্বিতীয়বার আবারও পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন তারা কিন্তু এবারও ব্যর্থ হন তারা। এরপরও হাল ছাড়েননি মিম এবং লিজা।অবশেষে চলতি বছরের গত ২৫ জানুয়ারি পুনরায় লিজার সাথে পালিয়ে যায় মিম। এ ঘটনায় মিমের মা জিয়াছমিন বাদী হয়ে আদালতের সহযোগিতায় মুলাদী থানায় লিজাসহ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলায় গত ১২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা থেকে মিমসহ গ্রেপ্তার করা হয় লিজাকে। মিম আক্তারের পরিবারের দাবি, লিজা তার মেয়েকে ইনজেকশন দিয়ে অবচেতন করে রেখেছে। লিজার সাথে কেন যাবে তা জানতে চাইলে মিম অস্বাভাবিক জবাব দিতেন বলে জানান তার ভাই নাঈম হোসেন।