বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

ইউটিউবের ভিডিওতে কপিরাইট স্ট্রাইক এলে যা করবেন

বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব। যেখানে আপনার বিনোদনের খোরাক মেটাতে পারেন খুব সহজেই। সিনেমা, গান, নাটক সব কিছুই রয়েছে এখানে। এছাড়া ইউটিউব থেকে অনেকেই মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করছেন।

নিজের চ্যানেলে নানান ধরনের কন্টেন্ট আপলোড করছেন। এভাবে একদিকে যেমন পরিচিতি পাবেন অন্যদিকে মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করারও সুযোগ রয়েছে। তবে মাঝে মাঝেই ভিডিওতে কপিরাইট স্ট্রাইক পান। এর কারণ হচ্ছে অনেকসময় অন্যের কন্টেন্ট বা ভিডিও নিজের চ্যানেলে আপলোড করেন।

ইউটিউব এই ধরনের ভিডিওর উপর একটি কপিরাইট স্ট্রাইক করে, যদি সেই ভিডিওতে প্রচুর ভিউ আসে বা ভাইরাল হয়ে যায় তাহলেও নিস্তার নেই। ইউটিউব হোক বা অন্য কোনো সোশ্যাল মিডিয়ায় প্ল্যাটফর্ম, কেউই চায় না কষ্ট করে বানানো ভিডিওতে কপিরাইট স্ট্রাইক আসুক। তাই যে কোনো ভিডিও বানানোর সময় বিশেষ কিছু দিকে নজর রাখতে হয়। নাহলে বিপদে পড়তে পারেন যে কোনো মুহূর্তে।

তবে যদি আপনার ইউটিউব চ্যানেলের কোনো ভিডিওতে কপিরাইট স্ট্রাইক এসেই যায় তাহলে তা থেকে বাঁচার উপায় জেনে নিন-

>> কপিরাইট স্ট্রাইক সরিয়ে ফেলার একমাত্র উপায় হল সেই ভিডিওটি মুছে ফেলা বা ইউটিউবের কাছে মেইল করা, যাতে আপনি স্পষ্ট করতে পারেন যে আপনার ভিডিওটিতে এমন কিছু নেই, যার জন্য আপনাকে কপিরাইট স্ট্রাইক দেওয়া হয়েছে। ইউটিউবের স্ট্রাইক উপেক্ষা করলে, ইউটিউব সেই ভিডিও, এমনকি আপনার অ্যাকাউন্টটিও ব্লক করতে পারে।

>> ভিডিওটি মুছে ফেলার আগে, আপনার ভিডিও কপিরাইট মুক্ত কি না তা যাচাই করুন। যদি দেখেন, আপনার ভিডিওতে এমন কিছুই নেই, যার জন্য কপিরাইট দেওয়া যেতে পারে, তাহলে কপিরাইট মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। অর্থাৎ যে আপনার ভিডিওটিতে কপিরাইট দিয়েছেন, তার সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

যদি আপনার চ্যানেলটি ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামে অন্তর্ভুক্ত থাকে, তবে আপনাকে এর জন্য ৭ দিন সময় দেওয়া হয়। চ্যানেলের বিরুদ্ধে কপিরাইট স্ট্রাইকের জন্য আপনি যদি তিনটি স্ট্রাইক পান, তাহলে আপনাকে ভিডিওটি সরিয়ে ফেলতে হবে বা সাত দিনের মধ্যে সেই অংশটুকু সরাতে হবে। এমনটা না করলে আপনার চ্যানেল বন্ধ হয়ে যাবে।

%d bloggers like this: