সারা দেশ

আপেল চাষে স্কুলছাত্র দীপ্ত’র সাফল্য

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে আন্না জাতের একটি আপেল চাষ করে সফল হয়েছেন সপ্তম শ্রেণির ছাত্র দীপ্ত ও তার মা স্কুল শিক্ষিকা দীপালী বেগম।গত বছর রোজার ঈদে সালামির টাকায় ভিনদেশী ফল আপেল গাছ কিনে বাড়ির ছাদে লাগিয়েছিলেন ঠাকুরগাঁও জেলা স্কুলের ছাত্র দীপ্ত। সেই গাছে চলতি মৌসুমে আপেল ধরেছে ৯৬টি।

গাছে এত আপেল ধরার ঘটনায় অবাক হয়েছে পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা। এক নজর গাছটি দেখতে ছুটে আসছেন পাড়া প্রতিবেশীরা।আপেল গাছটির পরিচর্যাসহ যাবতীয় নানা পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কর্মকর্তা তপন মাহমুদ। তিনি আশা করছেন এটি নিয়ে গবেষণা শুরু হলে দেশেও আপেল চাষ সম্ভব।

এ বিষয়ে দীপ্ত বলেন, ছোটবেলা থেকেই বিদেশি ফল গাছ চাষ করার আগ্রহ আমার অনেক বেশি। ২০২৩ সালে ঈদের সালামির টাকায় আমি এই আপেল গাছটি কিনে নিয়ে আসি। আমার মায়ের কাছ থেকে আরও কিছু টাকা নিয়ে আমি গাছ লাগানোর জন্য একটি বড় টব কিনে নিয়ে আসি। আমার কৃষি অফিসার মামার থেকে সব সময় পরামর্শ নিয়েছি।

কীভাবে গাছটির পরিচর্যা করব, সার প্রয়োগ করব সব বিষয়েই মামা সবসময় পরামর্শ দিয়েছিলেন। এছাড়া ইউটিউবে গাছের কীভাবে পরিচর্যা করা যায় সেটাও দেখতাম। এই বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে গাছে ফুল আসা শুরু করে। এরপর ধীরে ধীরে ফল বড় হতে থাকে। ফলগুলো এখন মোটামুটি অনেক বড় হয়েছে। তবে কিছু ফল ঝরে গেছে। এই গাছের ফল বেশ মিষ্টি। ভবিষ্যতে আমার আপেল বাগান করার পরিকল্পনা রয়েছে।

দীপ্ত’র মা স্কুল শিক্ষিকা দীপালী বেগম বলেন, আমার ছেলের গাছের প্রতি বেশ আগ্রহ ছোটবেলা থেকেই। বিশেষ করে ব্যতিক্রমী গাছ রোপন করার আগ্রহ ছিল তার অনেক বেশি। সে ঈদের সা্লামি দিয়ে নার্সারি থেকে একটি আপেল গাছ কিনে নিয়ে আসে। পরে আমাদের বিল্ডিং ছাদে টবের মধ্যে গাছটি রোপণ করে। এখন দেখছি গাছটি বেশ বড় হয়েছে এবং ভালো ফল ধরেছে। আমরা আশা করি সামনের বছর গাছটিতে আরও বেশি ফল আসবে।

ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমি শুনেছি যে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্র আপেল গাছ রোপণ করে সফল হয়েছে। এছাড়া আমাদের দিনাজপুর, পঞ্চগড়েও আপেল চাষ করছে অনেকেই। আমাদের এই অঞ্চলের আবহাওয়া অনেক শীতল হওয়ায় এখানে আপেল চাষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এটা নিয়ে গবেষণার করতে হবে।