সারা দেশ

আবারও নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে বন্যার পানিতে

কুমিল্লায় বুড়িচংয়ে বন্যার পানি কমলেও পাশের উপজেলা ব্রাহ্মণপাড়ায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। কুমিল্লার ১৪ উপজেলাতেই লেগেছে বন্যার ছোবল। গোমতীর বিপদসীমার ৪২ সে. মি উপরে, বন্যাকবলিত প্রায় ১০ লাখ, আশ্রয়কেন্দ্রে ৬৭ হাজার মানুষ।

কুমিল্লায় প্রত্যন্ত গ্রামে সাহ্যায্য যাচ্ছে কম। বন্যা কবলিত এলাকার সড়কের আশে পাশে এলাকা্য় পযাপ্ত সাহায্য পেলেও নতুন করে প্লাবিত গ্রামগুলো সে তুলনায় সাহায্য পাচ্ছে না। গ্রামের রাস্তার উপর প্রায় স্থানে ৪/৫ ফুট পানি। নৌকা বা কলার ভেলাই চলাচলের একমাত্র ভরসা।

বন্যা কবলিত গ্রামগুলোর অসহায় মানুষ গুলোকে সেনাবাহিনী উদ্ধার কাজ করছে। তাদের সাহায্যার্থে সহযোগীতার হাত বাড়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংগঠনসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তরুণ সমাজ উদ্ধার তৎপরতাসহ শুকনো খাবার, খিচুড়ি, চিকিৎসা সামগ্রী,পানি বিশুদ্ধ করণ টেবলেট নিয়ে দুর্গতদের পাশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়।

এদিকে উজানে ভারত থেকে আসা ঢলে কুমিল্লার লাকসাম-মনোহরগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণের অভাব মনোহরগঞ্জের প্রত্যন্ত অঞ্চলের বানভাসী মানুষের মাঝে হাহাকার সৃষ্টি হয়েছে।

বিভিন্ন এলাকায় বাঁধ ভেঙে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এতে দুই উপজেলার ৪ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্ধি হয়ে পড়েছেন। ১৮৮টি আশ্রয় কেন্দ্রে ইতিমধ্যে প্রায় ২৯ হাজার লোক আশ্রয় নিয়েছেন। পানিবন্দী মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে।