11 June 2024 , 4:01:16 প্রিন্ট সংস্করণ
ঈদুল আজহা উপলক্ষে গাজীপুর মহানগরীর পূবাইল থানা এলাকার একমাত্র পশুবাজার পূবাইল বাজার কুরবানির হাট বেশ জমে উঠেছে।নগরীর ৪১ নং ওয়ার্ডের পূবাইল বাজারে মঙ্গলবার ও আগামী শনিবার-রোববার এই হাটে কুরবানির পশু কেনা বেচা চলবে বলে জানিয়েছেন অস্থায়ী বাজার পরিচালনা বোর্ডের কর্মকর্তারা।অস্থায়ী বাজার পরিচালনা বোর্ডের কর্মকর্তা মনজুর হোসেন জানান, গরু বেপারী ও ক্রেতা বিক্রেতাদের নিরাপত্তা ও সুবিধার কথা মাথায় রেখে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
আজ বিকালে কুরবানির পশুতে মাঠ ভরে যাবে। আগের চেয়ে ক্রেতার উপস্থিতি অনেকাংশে বাড়বে আশা করছি। তবে একটি মহল এত সুন্দর আয়োজনকে বানচাল ও বিভিন্নভাবে ক্ষতি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। ক্রেতাদের চাহিদার কথা লক্ষ্য রেখে এবার আগামী শনিবার হাটের এবং পরদিন রোববার হাট থাকবে।জানা যায়, প্রতি বছর পূবাইল বাজারের এই হাটে আশেপাশের প্রায় ৫০- ৬০টি গ্রাম থেকে স্থানীয় খামারি ও কৃষদের পালিত গরু- ছাগলের মহাসমারোহে মাঠ ভরে যায়। জমে উঠে কুরবানির ঈদের আমেজ।
তাছাড়া পূবাইল মেট্রোপলিটন থানার ৪টি ওয়ার্ডে ও পার্শ্ববর্তী প্রায় ৫০টি গ্রামের মধ্যে একমাত্র কুরবানির পশুর হাট হওয়ায় এখানে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়।ক্রেতা বিক্রেতার বাইরেও সব ধরনের লোকজনই আসছেন এই পূবাইল বাজার হাটে। তারা ঘুরেফিরে দেখছেন কুরবানির গরু, মহিষ, খাসি, ছাগল ও ভেড়া।ঘুরেফিরে দেখে দেখেই তারা একে অপরের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করছেন।পাশের গ্রাম বড় কয়েরের গরু বিক্রতা বাদল জানান, তিনি সবসময়ই পূবাইল বাজার কুরবানির পশুর হাটের অপেক্ষায় থাকেন।
প্রতি বছর এই বাজারেই সাশ্রয়ী দামে সুস্থ পশু কেনেন। আর এখানে বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেক পশু ক্রেতা আসেন।কুরবানির পশু ক্রেতা একই এলাকার সেলিম মিয়া জানান, এই গরু ছাগলের হাট পূবাইলের খুবই ঐতিহ্যবাহী হাট। হাজার হাজার ক্রেতা বিক্রেতার ভিরে ঈদের আগেই ঈদের আনন্দটা অনেকাংশে বেড়ে যায়।পার্শ্ববর্তী কালীগঞ্জ থানার পিপলিয়া গ্রামের বাচ্চু মিয়া জানান, প্রতিবছর পূবাইল বাজার থেকেই কুরবানির গরু কেনা হয়। এবারও তার কেনার ইচ্ছা আছে।
কারণ হিসেবে তিনি বলেন, এখানে স্থানীয় কৃষকদের সুস্থ গরু পাওয়া যায়।ছোট কয়েররের আবুল খায়ের জানান, পূবাইল বাজারে অনেক গরু বিক্রি করি। আবার আমার আত্মীয়-স্বজনেরা এখান থেকে গরু ক্রয় করে। আমাদের গ্রামের ব্রীজ পার হলে এই গরুর হাট। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় এই হাটের অপেক্ষায় থাকি। তাছাড়া আমাদের গ্রামের অনেকেই এই বাজারের স্থায়ী ব্যবসায়ী। সবদিক মিলিয়ে আমাদের ২০-৫০টা গ্রামের জন্য পূবাইল বাজার কুরবানির পশুর হাট খুবই গুরুত্ব বহন করছে।
বড় কয়েরের শাখাওয়াত জানান, পূবাইল বাজার কুরবানির পশুর হাটে তুলনামূলক ভাবে একটু কম দামে কিনতে পারি। সবচেয়ে বড় সুবিধাটা হলো ‘আসলি’ একবারেই কম অর্থাৎ সিটি করপোরেশনের ধার্যকৃত ‘আসলির’ চেয়ে অনেক কম নেন হাটের আয়োজকেরা। তাই প্রচুর ক্রেতার সমাগম ঘটে এই হাটে।স্থানীয় কাউন্সিলর আমজাদ হোসেন মোল্লা বলেন, আমার ৪১ নং ওয়ার্ডে একমাত্র কুরবানির পশুর হাট পূবাইল বাজার। এই ঈদে ক্রেতা বিক্রেতাদের প্রত্যাশা পূরণে ভূমিকা রাখবে এটাই আশা করছি।আর সবার সাহায্য ও সহযোগিতা কামনা করছি।