বিনোদন

ধর্মের রাজনীতি করে ভোটে জেতা যায় না বললেন কাঞ্চন মল্লিক

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে সব শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী ৩০টি আসনে এগিয়ে থেকে একাই দাপট দেখাচ্ছে শাসকদল তৃণমূল। মঙ্গলবার সকাল থেকেই টান টান উত্তেজনা। এবার এ নিয়ে মুখ খুললেন উত্তরপাড়ার বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক। তিনি জানান, ধর্মের রাজনীতি করে ভোটে জেতা যায় না।ভারতের একটি গণমাধ্যম যোগাযোগ করতেই খুশির আমেজ ধরা পড়ল বিধায়ক-অভিনেতার গলায়।

এই দিন কি কাঞ্চন মল্লিকের ? এমন প্রশ্ন শুনেই ফোনের ও পার থেকে তিনি জানান, ‘আমার দিন নয়। বলুন আমাদের দিন। তৃণমূল কংগ্রেসের দিন। চারদিকে উৎসবের মেজাজ। আরও কয়েকটি ফলপ্রকাশ বাকি। তার পর সবাই উদযাপনে শামিল হবেন।এর আগে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি পেয়েছিল ১৮টি আসন। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী ২০২৪-এ ১১টি আসনে এগিয়ে রয়েছে তারা।

একে একে জয়ী হচ্ছেন তৃণমূলের প্রার্থীরা। বাংলায় শাসকদলের সাফল্য আর বিজেপির ব্যর্থতার তুল্যমূল্য আলোচনা করতে বললে কী বলবেন কাঞ্চন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেখুন, সাম্প্রদায়িক রাজনীতিতে ভোট জেতা যায় না। হুমকি, ধমকি দিয়েও কিছু হয় না। সাধারণের মানুষের কাছে আসতে হয়। তাদের অনুভূতি বুঝতে হয়। তবে এই ফলাফল সম্ভব।

উদাহরণ হিসেবে তিনি জানান, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্য সাথী, সবুজ সাথী, কন্যাশ্রী প্রকল্পের মতো একাধিক প্রকল্প কেবল রাজ্যবাসীর মুখ চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী চালু করেছেন। সুফল ভোগ করছেন অর্থনৈতিক দিক থেকে তুলনায় দুর্বল যারা। এ ভাবেই তৃণমূল কংগ্রেস মা-মাটি-মানুষের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। যার ছাপ পড়েছে ইভিএম যন্ত্রে।

বিরোধীরা যে একে ভিক্ষান্ন বলছে! দাবি, চাকরি কেড়ে হাজার টাকা ভিক্ষা দিয়ে রাজ্যের ভোটারদের কিনেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! এমন প্রশ্ন শুনেই উত্তেজিত কাঞ্চন। তার দাবি, “কিছু মানুষের স্বভাব চাল থেকে অকারণ কাঁকর বেছে বার করা। যা পাচ্ছেন, তাতে খুশি হতে পারেন না। উল্টো ভুল কথা বলেন।

তিনি পাল্টা প্রশ্নে বলেন, ৩৪ বছরেও বামেরা সাধারণ মানুষের জন্য কোনো প্রকল্প চালু করেনি। কেউ কানাকড়ি পাননি। রাজ্যবাসীর কথা ভেবেই মুখ্যমন্ত্রী বাংলায় এক মুঠো প্রকল্প চালু করেছেন। এখন তা নিয়ে অযথা সমালোচনা হচ্ছে।