সারা দেশ

আবারও আ.লীগ নেতার আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল

বরগুনার তালতলী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুল আবেদীন মিঠুর পর এবার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক পচাঁকোড়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদারের আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।ওই আওয়ামী লীগ নেতা পর্নোগ্রাফি মামলার প্রধান সাক্ষী।

এক তরুণীর সঙ্গে তার আপত্তিকর ভিডিও ক্লিপ ভাইরালের পর দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ এবং নিন্দার ঝড় বইছে। দ্রুত দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাগ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।জানা গেছে, তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ড. কামরুজ্জামান বাচ্চু মিয়া এক তরুণীর বিরুদ্ধে মোবাইলে আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে হোয়াসঅ্যাপ ও ম্যাসেঞ্জারে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ আনেন।

গত ১২ এপ্রিল তালতলী থানার পর্নোগ্রাফি আইনে তিনি মামলা করেন। এতে ওই তরুণী এবং তার সহযোগী জাহিদুল ইসলাম সবুজ ফকিরকে আসামি করা হয়। ওই মামলায় বরগুনা ডিবি পুলিশ ওই তরুণী ও তার সহযোগীকে গত শুক্রবার গ্রেফতার করে।এ মামলার প্রধান সাক্ষী করা হয় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক পঁচাকোড়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার ও দ্বিতীয় সাক্ষী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পদক মিঠু।

গত বুধবার রাতে এ মামলার প্রধান সাক্ষী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাকের ওই তরুণীর সঙ্গে আপত্তিকর ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে। ৪৫ সেকেন্ডের ভিডিও ক্লিপে দেখা যায় চেয়ারম্যান রাজ্জাক একেবারে বিবস্ত্র অবস্থায় মোবাইল নিয়ে বিছানায় শুইয়ে আছেন।৫২ সেকেন্ডের আরো একটি ভিডিও ক্লিপে দেখা যায় চেয়ারম্যান ওই তরুণীর পা চাটছেন এবং টিপছেন। ১ মিনিট ৩৩ সেকেন্ডের আরেকটি ভিডিও ক্লিপে দেখা যায়, ওই তরুণীকে চেয়ারম্যান বাহুডেরা করে হাস্যজ্জল অবস্থায় শুইয়ে আছেন।

এমন ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হওয়ায় দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় বইছে। এ ঘটনায় দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ তার শাস্তি দাবি করেছেন।এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদারের ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু বলেন, বিষয়টি আমি জানি না। জেনে শুনে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরো বলেন, দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয় এমন কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহা. রফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি। সঠিক অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

%d bloggers like this: