সারা দেশ

বেইলি রোডের আগুনে মা-মেয়ের স্বপ্ন পুড়ল

স্বপ্নের দেশ পোল্যান্ড যাওয়া হলো না মা ফিলিপাইনের নাগরিক রুবি রায় এবং মেয়ে বিভাংকার। বেইলি রোডের আগুন তাদের স্বপ্ন পুড়ে ছাই করার পাশাপাশি জীবনকেও পুড়ে করল ভস্ম। রুবি রায়ের পোল্যান্ড প্রবাসী স্বামী ইঞ্জিনিয়ার উত্তম কুমার রায়ের শুক্রবার রাতের ফ্লাইটে দেশে ফেরার কথা। এরপর কয়েক দিনের মধ্যে তাদের পোল্যান্ডে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে চলে যাওয়ার কথা ছিল।

ও-লেভেলের শিক্ষার্থী বিভাংকা ও মা রুবি রায় বৃহস্পতিবার বেইলি রোডের ওই ভবনে একটি রেস্তোরাঁয় রাতের খাবার খেতে যান। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কবলে পড়ে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। ইঞ্জিনিয়ার উত্তম কুমার রায়ের বাড়ি মাধবপুর উপজেলার বানেশ্বরপুর গ্রামে। স্ত্রী ও মেয়ে ঢাকায় বসবাস করতেন। পোল্যান্ডে সপরিবারে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য এরই মধ্যে প্রস্তুতি চূড়ান্ত হয়েছে।

শুক্রবার রাতে উত্তম কুমার দেশে এসে স্বজনদের সঙ্গে কিছুদিন থেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পোল্যান্ড চলে যাওয়ার কথা ছিল। পূর্ব প্রস্তুতি অনুযায়ী মা ও মেয়ে বাসা থেকে কেনাকাটা করতে বের হন। রাতের খাবার খেতে তারা বেইলি রোডের হোটেলে যান। সেখানে গিয়ে আর ফিরে আসেননি। শুক্রবার বানেশ্বরপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায় পরিবারের সদস্যদের আহাজারি।

শোকে স্তব্ধ বাড়ির আশপাশের মানুষও।উত্তম রায়ের বড় ভাই বিষ্ণু রায় বলেন, ভাই ইঞ্জিনিয়ার উত্তম কুমার ১৯৯৬ সালে কোরিয়ায় হুন্দাই কোম্পানিতে চাকরি করার সময় ফিলিপাইনের নাগরিক রুবির সঙ্গে পরিচয়ের পর বিয়ে করে।

এরপর থেকে রাজধানীর মালিবাগে ভাড়া বাসায় বসবাস করে। এরমধ্যে তাদের কোলজুড়ে এক মেয়ে ও এক ছেলে আসে। এরপর ভাই ২ বছর আগে পোল্যান্ড যায়। কিছুদিনের মধ্যে পরিবার নিয়ে পোল্যান্ড যাওয়ার কথা ছিল।

%d bloggers like this: