সারা দেশ

দোকান উচ্ছেদ সাড়ে তিন হাজার

দোকান উচ্ছেদ সাড়ে তিন হাজার

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে অবৈধভাবে গড়ে তোলা প্রায় সাড়ে তিন হাজার স্থাপনা ও দোকানপাট উচ্ছেদ করেছে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা প্রশাসন এবং জেলা সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। গতকাল শুক্রবার দিনভর উপজেলার নয়নপুর, এমসি বাজার ও জৈনা বাজার এলাকায় পরিচালিত হয় এ অভিযান।

এতে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, বিনা নোটিশে উচ্ছেদ অভিযান চালানোয় ক্ষতির শিকার হতে হয়েছে।এমসি বাজারের মুদি দোকানি রাহাত হোসেনের দোকানও গতকাল বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, উচ্ছেদ বিষয়ে তাদের আগে নোটিশ দেওয়া হয়নি। দোকান ভেঙে দেওয়ায় পথে বসতে হবে।

নয়নপুর বাজারের ডিম ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলামের ভাষ্য, এখানে ব্যবসা করে নির্ধারিত হারে খাজনা দেন। তবু কিছুদিন পরপরই উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে দোকান ভেঙে দেওয়া হয়। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।স্থানীয়রা জানায়, বাজার তিনটিই শ্রীপুর উপজেলার বড় বাজার হিসেবে পরিচিত। তবে বাজারের জন্য সরকারের নির্ধারিত কোনো জায়গা নেই।

তবু প্রশাসন থেকে প্রতিবছর ইজারা দেওয়া হয়। এই সুযোগে ইজারাদারদের ছত্রছায়ায় অবৈধভাবে দোকানপাট গড়ে তোলেন ব্যবসায়ীরা।শুক্রবার সকালে উপজেলা প্রশাসন ও সওজ বিভাগের শতাধিক ব্যক্তি দুটি বুলডোজার ও কয়েকটি ট্রাক নিয়ে এমসি বাজারে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেন। এ সংবাদ পেয়ে অনেক দোকানি মালপত্র সরিয়ে নিতে তাড়াহুড়ো শুরু করেন।

কেউ কেউ দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যান। বন্ধ থাকা দোকানপাট গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এমসি বাজারে উচ্ছেদ অভিযানের সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে নয়নপুর ও জৈনা বাজারের বেশির ভাগ ব্যবসায়ী মালপত্র সরিয়ে নেন। অনেকে এসব পণ্য সড়ক বিভাজকের ওপর রেখে দেন।ইউএনও শামীমা ইয়াসমিনের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয় বলে জানান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আল মামুন।

তিনি বলেন, অন্তত সাড়ে তিন হাজার স্থাপনা তারা গুঁড়িয়ে দিয়েছেন। এসব সওজের জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে তোলা হয়েছিল। মাওনা চৌরাস্তায়ও এমন অভিযান শিগগির পরিচালনা করবেন।একটি সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি নয়নপুর ও জৈনা বাজার ইজারা দেওয়ার জন্য দরপত্র আহ্বান করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। বাজারের জায়গা না থাকলেও ইজারা দেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করলে মো. আল মামুন বলেন, মহাসড়ক ব্যবহার করে দোকান বসানোর জন্য কোনো ইজারা দেওয়া হয় না।