জাতীয়

আরও ভিসা নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে বললেন ব্রায়ান শিলার

দরজায় কড়া নাড়ছে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি আর মাত্র তিন মাস। নির্বাচনের সময় যখন ঘনিয়ে আসছে তখন বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান এমনকি গণমাধ্যমের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রক্রিয়া শুরু করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

নতুন ভিসা নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার পর থেকেই বাংলাদেশ নানা ঘটনাবলির ওপর নজর রাখছে যুক্তরাষ্ট্র। ইতোমধ্যে প্রথম দফা ভিসা নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়েছে। এবার ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র ব্রায়ান শিলার বলেছেন, যদি প্রয়োজন হয়, আরও নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে। ‘৩সি’ হিসেবে পরিচিত এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা নীতি।

যাকেই (এনিওয়ান) দেখা যাবে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করছেন, তার বিরুদ্ধেই এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। ব্রায়ান শিলার ঢাকা ট্রিবিউনকে এসব কথা জানিয়েছেন।গণতান্ত্রিক নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার কর্মকাণ্ডের মধ্যে যেসব বিষয় আছে তা উল্লেখ করে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র বলেন, ভোট জালিয়াতি, ভোটারদের ভীতিপ্রদর্শন, সমাবেশের স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সভাসমাবেশের অধিকার চর্চায় যারা সহিংসতা ব্যবহার করে বাধা দেয়।

এ ছাড়া রাজনৈতিক দল, ভোটার এবং নাগরিক সমাজকে বাধা দেওয়ার পদক্ষেপ, মিডিয়াকে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া এবং তাদের দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশে বাধা দেওয়া। তিনি এক্ষেত্রে ইংরেজি শব্দ ‘এনিওয়ানের’ ওপর জোর দেন।

যারা ভিসা নিষেধাজ্ঞার মধ্যে আসবেন তাদের নাম ও ফোন নম্বর আমরা প্রকাশ করব না উল্লেখ করে তিনি আরও বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের আইনে ভিসা রেকর্ড গোপনীয়। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে তারা কার কার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেবে।এর আওতায় আছে আইন প্রয়োগকারী এজেন্সিগুলো, ক্ষমতাসীন ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা, বিচার বিভাগ, বর্তমান ও সাবেক সরকারি কর্মকর্তারা।