সারা দেশ

প্রথমবারের মতো রঙিন ফুলকপি চাষ

প্রথমবারের মতো রঙিন ফুলকপি চাষ

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে প্রথমবারের মতো চাষ হয়েছে রঙিন ফুলকপির৷ উপজেলার পুমদি ইউনিয়নের জগদল ব্লকের কৃষক মো. আনাম মিয়া রঙিন ফুলকপি চাষ করে বাজিমাত করেছেন। রঙবেরঙের এসব ফুলকপি উচ্চমূল্যে বিক্রি করে তিনি লাভবান হচ্ছেন। জানা গেছে, অতিরিক্ত পরিমাণে বেটা ক্যারোটিনের কারণে ফুলকপি কমলা রঙের হয়।

এই রঙের সবজিতে অন্য রঙের সবজির তুলনায় পঁচিশ গুণ বেশি ভিটামিন এ উপাদান থাকে। আবার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অ্যান্থোসিয়ানিন্সের উপস্থিতির কারণে ফুলকপির রঙ বেগুনি হয়। বেগুনি ফুলকপি রান্নার পর বিবর্ণ হলেও কমলা ফুলকপি বিবর্ণ হয় না। কমলা রঙের ফুলকপির মতো বেগুনি ফুলকপিতেও সাদা ফুলকপির তুলনায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বেশি থাকে।

বেগুনি রঙের ফুলকপি প্রদাহ উপশম, কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে উপকারী।উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার বিলচাতল গ্রামের কৃষক মো. আনাম মিয়া তার ১৫-২০ শতাংশ জমিতে হলুদ ও বেগুনি রঙের ফুলকপি চাষ করেন।

রঙিন হওয়ায় বাজারে নেওয়ার সাথে সাথেই ক্রেতারা উচ্চ মূল্যেও এসব ফুলকপি কিনে নিচ্ছেন।বাংলাদেশে ‘রঙিন’ ফুলকপির চাষ শুরু হয় ২০২১ সালে। জামালপুরের এক একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ অ্যাগ্রো কম্পোজিট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে মাটি ছাড়াই কোকোফিডের মধ্যে সবজির চারা উৎপাদন করা হয়। তারা ভারত থেকে কিছু রঙিন ফুলকপির বীজ এনেছিল পরীক্ষামূলক চাষের জন্য।

সেখানে রবি মৌসুমে হাজার দুয়েক চারা উৎপাদন করা হয়।কৃষক আনাম মিয়া জানান, উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় তিনি এসব ফুলকপি চাষ করেছেন। নতুন জাত ও ভালো দাম পাওয়ায় তিনি লাভবান হচ্ছেন। তিনি আরও জানান,প্রতিটি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়৷ সামনের মৌসুমে তিনি আরও বেশি জমিতে রঙিন ফুলকপি চাষ করবেন।

জগদল ব্লকের উপসহকারি কৃষি অফিসার মুদাসিল হায়দার আলমগীর জানান,প্রথমবারের মতো রঙিন ফুলকপি চাষে ফলন ও বাজার মূল্য দেখে ভালো লাগছে এবং অন্যান্য কৃষকদের মাঝে ব্যাপক আগ্রহ বাড়ছে। রঙিন ফুলকপির চাষ অন্যান্য কপির মতো হওয়ায় বাড়তি কোনো খরচ লাগে না।

উপজেলা কৃষি অফিসার একেএম শাহজাহান কবির জানান,বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় প্রথমবারের মতো এ উপজেলায় রঙিন ফুলকপি চাষ হয়েছে। প্রথমবারের মতো চাষে কৃষক আনাম মিয়া সফল হয়েছে। কৃষি অফিস থেকে নিয়মিত খোঁজ খবর নেওয়া হয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content