12 February 2024 , 5:44:36 প্রিন্ট সংস্করণ
কুষ্টিয়ায় পরকীয়ার ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে স্ত্রী-সন্তান ও স্ত্রীর প্রেমিককে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা মামলার আসামি পুলিশের বরখাস্ত হওয়া সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সৌমেন রায়কে (৩৫) মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া তাকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন সৌমেন। রবিবার বিকেলে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রুহুল আমীন এ রায় দেন। আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী রায়ের তথ্য নিশ্চিত করেছেন
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সৌমেন রায়ের বাড়ি মাগুরা সদর উপজেলার কুচিয়ামোড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আসবা গ্রামে। তিনি সর্বশেষ খুলনার ফুলতলা থানায় এএসআই হিসেবে কর্মরত ছিলেন।মামলা এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ১৩ জুন বেলা সোয়া ১১টার দিকে পরকীয়ার ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে সৌমেন রায় তার স্ত্রী আসমা খাতুন (২৪), আসমার প্রথম পক্ষের ছেলে রবিন (৫) এবং স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিক শাকিলকে (২৭) সরকারি অস্ত্র দিয়ে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করেন। কুষ্টিয়া শহরের কাস্টমস মোড় এলাকার নাজ ম্যানশন মার্কেটের বিকাশের দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সার্ভিস রিভলভার, গুলি ও ম্যাগাজিনসহ সৌমেনকে গ্রেপ্তার করে।গ্রেপ্তারের পর সৌমেনকে বরখাস্ত করা হয়। ওইদিন রাতে তাকে একমাত্র আসামি করে কুষ্টিয়া মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত আসমা খাতুনের মা হাসিনা বেগম। ১৪ জুন বিকেলে কুষ্টিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. এনামুল হকের আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন সৌমেন রায়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিশিকান্ত সরকার সৌমেন রায়ের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। সৌমেন রায় ২০২২ সালের ৬ নভেম্বর হাইকোর্ট থেকে জামিন লাভ করেন। এরপর তিনি কুষ্টিয়া জেল থেকে কারামুক্ত হয়ে আত্মগোপন করেন।কুষ্টিয়া আদালত বারবার আত্মসমর্পণের দিন ধার্য করলেও আত্মসমর্পণ করেননি সৌমেন। আত্মসমর্পণ না করায় আদালত ২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির এক বছর পেরিয়ে গেলেও সৌমেন আত্মগোপনে রয়েছেন।