খেলাধুলা

এবার বিপিএল থেকে সরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত কুমিল্লার

এবার বিপিএল থেকে সরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত কুমিল্লার

আর মাত্র ৪৮ ঘণ্টা, বেজে উঠবে বিপিএলের দামামা। দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় এই ঘরোয়া লিগে মেতে উঠবে গোটা ক্রিকেট পাড়া। সাতটা দল মুখোমুখি হবে একটা শিরোপার সন্ধানে। তবে মাঠে নামার আগে বড়সড় এক দুঃসংবাদ দিলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। আগামী আসর থেকে বিপিএলে তাদের আর দেখা নাও যেতে পারে। বিপিএলে ছয় আসরে খেলে চারবার চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। বর্তমান চ্যাম্পিয়নও তারা, চোখ এবার পঞ্চম শিরোপায়। স্থানীয় ও বিদেশী তারকায় ঠাসা দল নিয়ে এগোচ্ছে সেভাবেই।

কিন্তু এবার মাঠে নামার আগেই বিপিএলের লভ্যাংশ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মালিক নাফিসা কামাল। দিলেন আর দল পরিচালনা না করার হুঁশিয়ারি।শুরু থেকেই নানা কারণে বিতর্কিত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ। বিশেষ করে বার বার ফ্রাঞ্চাইজি মালিকানা পরিবর্তন, বেশ প্রশ্নবিদ্ধ করেছে বিপিএলকে। কেন প্রতি আসরের আগেই মালিকানায় এমন সংযোজন-বিয়োজন, তা নিয়েও কথা উঠেছে। উত্তরে মেলেছে, আশানুরূপ লাভ না থাকাই বড় কারণ।

ভিক্টোরিয়ানস ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিক নাফিসা কামাল তাই জানিয়েছেন, পুরোনো এবং যৌক্তিক এক দাবি- বিপিএলের রাজস্ব আয়ের ভাগ দিতে হবে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের। যেমনটা হয়ে থাকে অন্য দেশে, অন্যান্য লিগগুলোতে। এই প্রসঙ্গে মঙ্গলবার গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেন তিনি। নাফিসা কামাল বলেন, ‘আমি আগামী বছর বিপিএল করব কি না নিশ্চিত নই। এখন যেভাবে হচ্ছে, এভাবে হলে মনে হয় না আমার পক্ষে দল করা সম্ভব হবে। এ বছর একটা মিটিং করতে চেয়েছিলাম বিসিবির সাথে। গত বছর চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরও প্রেস কনফারেন্সে আমি এটাই অনুরোধ করেছিলাম- একটা মিটিং। মিটিং হলে মালিকপক্ষ বসবে।

রাজস্ব বন্টনের ক্ষেত্রে বিসিবির যেকোনো সিদ্ধান্ত মেনে নেয়ার আশ্বাস দিয়ে নাফিসা বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে আমরা খুবই নমনীয় হব। ওনাদের (বিসিবি) যেটা ভালো হয় সেটাই নিতে রাজি আছি। যদি আমাদের একদম কমটাও দেয়, তবু মডেলটা অন্তত তৈরি করুক। কাঠামোটা তৈরি করুক। প্রথম পদক্ষেপটা নিক। নাফিসা যে শুধু চান একটা কাঠামো তৈরি করতে, তা তার পরের বক্তব্যেই স্পষ্ট। তিনি বলেন ‘আমাদের তিন বছরের জন্য ওরিয়ন যে টাকা দিয়েছে, খোঁজ নিয়ে দেখেন, এটা বিপিএলের টাইটেল স্পনসর থেকে আসা আয়ের চেয়েও বেশি।

উল্লেখ্য, আইপিএল বা পিএসএল, শীর্ষস্থানীয় লিগগুলোতে রাজস্বের বড় একটা ভাগ পেয়ে থাকে দলগুলো। বিপিএলে এমনিতেই আয়ের উৎস কম। যা টাকা আসে, তার পুরোটাই বলা যায় স্পনসর থেকে। বাকিটা প্রাইজমানি। এমতাবস্থায় বিসিবির সহযোগীতা কামনা করাই স্বাভাবিক। কিন্তু হচ্ছে উল্টোটা। খরচ করছে দলগুলো আর লাভের টাকা পুরোটাই যাচ্ছে ক্রিকেট বোর্ডের ঝুলিতে। ১০৫ কোটি টাকার সম্প্রচার স্বত্ব, অংশগ্রহণ ফি ১০ কোটি ও টাইটেল স্পনসর থেকে পাওয়া ১৬ কোটি টাকার পুরোটাই বিসিবির।