আন্তর্জাতিক

গাজায় হামলার ১০০ দিন যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যসহ ৩০ দেশে বিক্ষোভ

গাজায় হামলার ১০০ দিন যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যসহ ৩০ দেশে বিক্ষোভ

গতকাল শনিবার ছিল ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধের ৯৯তম দিন। এদিন এ বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়। আজ রোববার এ যুদ্ধ ১০০তম দিনে গড়াল। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের ৩০ দেশে গতকাল শনিবার হাজার হাজার ফিলিস্তিন-সমর্থক বিক্ষোভ করেছেন। গাজার প্রতি সংহতি জানিয়ে ডাক দেওয়া ‘গ্লোবাল ডে অব অ্যাকশন’-এর (বৈশ্বিক বিক্ষোভের দিন) অংশ হিসেবে রাজপথে নেমে তারা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডটিতে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের দাবি জানান।

গাজা উপত্যকায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকর এবং ইসরায়েলের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সমর্থনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে যুক্তরাজ্যভিত্তিক কয়েকটি সংগঠনের জোটের পক্ষ থেকে গ্লোবাল ডে অব অ্যাকশনের ডাক দেওয়া হয়। এতে সাড়া দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন, যুক্তরাজ্যের লন্ডনসহ বিশ্বের ৩০টি দেশের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ হয়েছে।শনিবার ওয়াশিংটনের বিক্ষোভে অংশ নেওয়া লোকজন স্লোগান দেন-‘এখনই যুদ্ধবিরতি কার্যকর করুন’, ‘ফিলিস্তিনকে মুক্ত করুন’, ‘গাজায় যুদ্ধের অবসান করুন’।

হোয়াইট হাউস থেকে সামান্য দূরে স্থাপিত একটি মঞ্চে কয়েকজন ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক আবেগঘন বক্তব্য দিয়েছেন। গাজায় কীভাবে তাদের বন্ধু ও স্বজনদের হত্যা করা হয়েছে, তার বর্ণনা দিয়েছেন। এই ফিলিস্তিনিদের মূল নিবাস গাজা উপত্যকায়, তবে এখন তারা মিশিগান, টেক্সাসসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে থাকেন। ইসরায়েলকে সামরিক ও আর্থিক সহায়তা বন্ধ করে দিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।

বক্তব্য দেওয়া ফিলিস্তিনিদের একজন সমবেত মানুষদের উদ্দেশে বলেন, ‘ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে চাপ দেওয়ার মধ্য দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন সহজেই এসব বেপরোয়া কর্মকাণ্ড থামাতে পারেন।গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে শনিবার লন্ডনেও বিক্ষোভ হয়েছে। গত ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি হামলা শুরুর পর থেকে লন্ডনে সপ্তমবারের মতো এ বিক্ষোভ হলো।

লন্ডনের বিক্ষোভে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শনিবার সেখানে প্রায় ১ হাজার ৭০০ পুলিশ সদস্যকে মোতায়েন করা হয়েছিল। ২৭ বছর বয়সী স্বাস্থ্যকর্মী মালিহা আহমেদ বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আমরা ফিলিস্তিনিদের দেখাতে চাই যে আমরা তাদের সঙ্গে আছি। তারা যেন আমাদের সরকারের বিপক্ষে আওয়াজ তুলতে পারে। ইসরায়েল যা করছে, তা চালিয়ে যেতে দিতে তারা খুব বড় ভূমিকা পালন করছে।

যা হচ্ছে, তা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।দিপেশ কোথার নামের ৩৭ বছর বয়সী এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘বিশ্ব কিছুই করছে না-এটা এভাবে বসে বসে দেখতে থাকাটা অত্যন্ত হতাশার। এ কারণে আমরা ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারের প্রতি আমাদের অসন্তোষ জানাতে এখানে এসেছি।