14 January 2024 , 2:55:03 প্রিন্ট সংস্করণ
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার হাট-বাজারে উঠেছে নানা ধরনের শীতকালীন শাকসবজি। সরবরাহ বাড়ায় কমতে শুরু করেছে দামও। প্রতিটি হাটে কাকডাকা ভোর থেকে শুরু হয় শীতকালীন শাক-সবজির কেনাবেচা। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় উৎপাদিত শীতকালীন শাক-সবজিতে বাজারগুলো ভরপুর।
ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, গাজর, শিম, টমেটো ও লাউসহ প্রতিটি সবজির দাম গত এক সপ্তাহের তুলনায় নেমে এসেছে অর্ধেক বা তারও কমে।রবিবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে পাটগ্রামের পূর্ব মার্কেটের সবজির বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহ ব্যবধানে প্রত্যেকটি সবজির দাম কমেছে।বর্তমানে পাইকারি দরে কেজি প্রতি ফুলকপি ২০ থেকে ২৫ টাকা, শিম ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, মুলা ১০ থেকে ১২ টাকা, বাঁধাকপি ১০ থেকে ১৫ টাকা, লাউ প্রতিটি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়াও বাজারে অন্য সবজি কেজি প্রতি পটোল ৮০ টাকা, পেঁপে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, বেগুন ৩০ টাকা, শসা ৩০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ১২০ টাকা, কচু ৪০ টাকা, পিয়াজ (দেশি) ১৫০ টাকা, ভারতীয় (আমদানিকৃত) ১২০ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা, পুঁইশাক ২০ টাকা, টমেটো ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলার পূর্ব বাজারের ক্রেতা আবু সালাম জানান, শীতকালীন বিভিন্ন সবজির দাম কমায় এখন কিছুটা বাজার করা সম্ভব হচ্ছে। তবে পেঁয়াজ ও নতুন আলুর দাম আরেকটু কমলে ভালো হতো।পূর্ব বাজারের বিক্রেতা আব্দুল মজিদ জানান, দাম বেশি হওয়ায় সবজি এতোদিন তেমন বিক্রি হচ্ছিল না। অনেক সময় কাঁচা সবজি বিক্রি না হওয়ায় দোকানে নষ্ট হতো।
দাম কমায় এখন বিক্রি বেড়ে গেছে।পূর্ব বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজিনুর রহমান আজিম বলেন, বাজারে সব ধরনের শীতকালীন শাকসবজির সরবরাহ বাড়ায় দাম এখন ক্রেতাদের নাগালে।
পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুরুল ইসলাম জানান, শীতকালীন সবজির দাম ক্রেতাদের হাতের নাগালে রাখতে উপজেলার সবজির বাজার গুলোতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা অব্যাহত রয়েছে।