বাণিজ্য

বৈদেশিক মুদ্রার সংকট থাকবে না বললেন অর্থমন্ত্রী

বৈদেশিক মুদ্রার সংকট থাকবে না বললেন অর্থমন্ত্রী

দেশে বৈদেশিক মুদ্রা আসতে শুরু করেছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, আগামীতে আসবে-যাবে, বৈদেশিক মুদ্রার সংকট থাকবে না।গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিআইডিএস আয়োজিত ‘আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহার বাস্তবায়ন ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের আত্মবিশ্বাসের প্রয়োজন ছিল, অফশোর ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আমরা সেই কাজটি করেছি।

যাদের টাকা আছে, তারা নিয়ে আসবে, আবার নিয়ে চলে যাবে।এই জিনিসটাই করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা ক্যাম্পেইন শুরু করেছি, ঈদের পর আরও বেশি ডলার আসা শুরু করবে। আইনটা মানুষের পছন্দ হয়েছে। এখন ডলার আসবে। বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রতিপক্ষ বলে যারা দাবি করেন, আসলে প্রতিপক্ষ নই।

যারা কথা বলেন, কে তাদের নেতা বোঝা মুশকিল। যারা কথাবার্তা বলেন, তাদের কথাবার্তা শুনে যা মনে হয়, তাদের নেতাকে আমরা চিনি। তিনি বসে আছেন লন্ডনে। লন্ডন থেকে তিনি কী ধরনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বোঝা যাচ্ছে না। ’ তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি যিনি নেতৃত্ব দিচ্ছেন দৃশ্যমান হবেন, অন্ধকার থেকে আলোর মধ্যে চলে আসুন।

অন্ধকার থেকে যেসব কাজ করছেন, তা মোটেই কাম্য নয়।বিশেষ অথিতির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান বলেন, শিক্ষার প্রসারের ক্ষেত্রে স্কুল কাছে হওয়ার বিষয়টি অত্যাবশ্যক। ১৫ বছরে দায়িত্বকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই কাজটি করেছেন। শিক্ষার হারে বড় ধরনের অগ্রগতি সাধিত হয়েছে।

আগামীতে সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে সময়োপযোগী করে ইশতেহার বাস্তবায়ন করবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ইশতেহারে সরকার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বশাসনের বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছে। ব্যাংকের বিষয়ে সমস্ত দায়িত্ব কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। কেন্দ্রীয় ব্যাংক যেটা মনে মনে করবে, সেটা স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে।

ড. মশিউর রহমান আরও বলেন, একটি কথা বলা হয়েছে, খেলাপি ঋণের বিপরীতে যে সঞ্চিত রাখার দরকার সেটা বাধ্যতামূলক করা হবে। যাতে অন্যথা না হয় সেটা খেয়াল রাখতে হবে। এর অর্থ হলো, ব্যাংকের নিজস্ব একটা স্ট্রিগার মেকানিজম থাকার দরকার। সেটা হলো ব্যাংককে যদি খেলাপি ঋণের বিপরীতে সঞ্চিতি রাখতে হয়, তাহলে তার ঋণ বিতরণের ক্ষমতা কমে যাবে। এটা একটি স্ট্রিগার।