2 January 2024 , 7:39:05 প্রিন্ট সংস্করণ
দেশে টানা হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি পালন করার পরে হঠাৎ করেই এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে বিএনপি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে হরতাল-অবরোধের পথে না হেঁটে সরকারের পদত্যাগ ও ভোট বর্জনের লিফলেট বিতরণের গণসংযোগ কর্মসূচি পালন করছে দলটি। বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা মনে করছেন, অভাবনীয় কিছু না ঘটলে নির্বাচন ঠেকানো যাবে না।
ফলে নির্বাচন ঠেকানোর চেয়ে ভোটারদের ভোটদানে নিরুৎসাহিত করার ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে দলটি। যার কারণে হরতাল-অবরোধে না হেটে লিফলেট বিতরণে মানুষকে ভোটকেন্দ্রে না যেতে উৎসাহিত করার চেষ্টা চলছে।এছাড়াও বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা মনে করছেন, নির্বাচনের আগে দেশে ধ্বংসাত্মক নাশকতা ঘটিয়ে বিএনপির ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করা হতে পারে।
ফলে নির্বাচনের পর বিএনপির রাজনীতি নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়া হতে পারে। যে কারণে হরতাল-অবরোধ ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে দলের নেতাকর্মীদের জন্যই।গত ২৮ অক্টোবর ঢাকার মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যাওয়ার পর চার দফায় পাঁচ দিন হরতাল এবং ১২ দফায় ২৪ দিন অবরোধ কর্মসূচি করে বিএনপি। এরপর ভোট ঠেকাতে জনগণকে ভোট বর্জনের পাশাপাশি অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়। যদিও অসহযোগ আন্দোলনের কার্যকারিতা নিয়ে এরই মধ্যে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
জনগণকে ভোট প্রদানে নিরুৎসাহ করতে গতকাল পর্যন্ত সারা দেশে ১০ দিন গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করে বিএনপি।বর্তমানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ২৭ হাজারের বেশি নেতাকর্মী কারাগারে। এই পরিস্থিতিতে কঠোর কর্মসূচি দিলে পুলিশ আরো কঠোর হবে।
রাজপথ কর্মী শূন্য হয়ে পড়লে সামনের কর্মসূচি পালন কঠিন হবে। এই দিকগুলো বিবেচনা করেই নির্বাচনের আগে নতুন কোনো হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নেই বিএনপির। বরং দলটি চাইছে, নির্বাচনের দিন সাধারণ ভোটাররা যেন কেন্দ্রে না যায়, সে বিষয়ে জনমত তৈরি করতে।