আন্তর্জাতিক

দক্ষিণ মহাসাগরের দিকে সরে যাচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম বরফখণ্ড

প্রায় তিন দশক বা ৩০ বছর ধরে সমুদ্রপৃষ্ঠের সাথে আটকে ছিল এ-টুয়েন্টি থ্রি-এ নামক বিশ্বের সবচেয়ে বৃহত্তম বরফখণ্ডটি। তবে এবার নিজ স্থান থেকে ধীরে ধীরে সরে যেতে শুরু করেছে বৃহত্তম এই বরফখণ্ডটি। বর্তমানে ভাসতে ভাসতে এটি অ্যান্টার্কটিক সীমানার বাইরে দক্ষিণ মহাসাগরের দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স।প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৩০ বছরে প্রথমবারের মত সরে যেতে শুরু করেছে বৃহত্তম বরফখণ্ডটি।

সাম্প্রতিক প্রকাশিত স্যাটেলাইট চিত্রগুলোতে দেখা যায় যে প্রায় এক ট্রিলিয়ন মেট্রিক টন ওজনের বরফখণ্ডটি বর্তমানে তীব্র বাতাস এবং স্রোতের সাহায্যে অ্যান্টার্কটিক উপদ্বীপের উত্তরের প্রান্ত অতিক্রম করছে।

এ-টুয়েন্টি থ্রি-এ নামক বরফখণ্ডটির আয়তন প্রায় ৪ হাজার বর্গকিলোমিটার যা নিউ ইয়র্ক সিটির আকারের প্রায় তিনগুণ। ১৯৮৬ সালে অ্যান্টার্কটিকা উপকূল থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ার পর ওয়েডেল সাগরে আসে এটি। তারপর সেখানে এটি বিশাল বরফের দ্বীপে পরিণত হয়।

ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক সার্ভের গ্ল্যাসিওলজিস্ট অলিভার মার্শ বলেন, ‘চলার পথে এই আকারের একটি বরফখণ্ড দেখা বিরল, তাই বিজ্ঞানীরা এর গতিপথটি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।

কিন্তু কেন এমন হচ্ছে, এ নিয়ে ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিকা সার্ভের রিমোট সেন্সিং বিশেষজ্ঞ ড. অ্যান্ড্রু ফ্লেমিং বলেন, সাগরের পানির তাপমাত্রার পরিবর্তনের কারণে এমন হতে পারে। বরফখণ্ডটি ১৯৮৬ সালে ভেঙে আলাদা হয়েছিল।

কিন্তু দিন দিন তার আকার ছোট হয়ে সরে যাওয়াও শুরু করেছে।এদিকে বরফখণ্ডটির সম্ভাব্য গতিপথ দক্ষিণ জর্জিয়া দ্বীপ হতে পারে বলছেন বিজ্ঞানীরা।

কিন্তু এ হিমশৈল যদি দক্ষিণ জর্জিয়ার দিকে আসে, তাহলে লাখ লাখ সামুদ্রিক প্রাণী ক্ষতির সম্মুখীন হবে। কারণ এ দ্বীপে লাখ লাখ সীল, পেঙ্গুইন এবং সামুদ্রিক পাখি বংশবৃদ্ধি করে এবং আশেপাশের জলে বসবাস করে।