28 October 2023 , 3:04:14 প্রিন্ট সংস্করণ
ইসরাইলে হামাসের অভিযানের পর অধিকৃত পশ্চিম তীরের বসতি স্থাপনকারীসহ দেশের অন্য বেসামরিক নাগরিকদের মধ্যে বাড়ছে অস্ত্রের চাহিদা। শুক্রবার এক খবরে ইসরাইলের চ্যানেল ১৩ টিভি জানিয়েছে, হামাসের অভিযানের পর বন্দুকের লাইসেন্স পেতে দেড় লাখ মানুষ আবেদন করেছে। গত বছর একই সময়ে এই আবেদনের পরিমাণ ছিল মাত্র ৪২টি।
ইসরাইলের সরকারও রেকর্ডসংখ্যক অস্ত্রের আবেদন অনুমোদন করছে। বুধবার ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘নিজেদের আত্মরক্ষা আর উৎসাহিত করতে বেসামরিক নাগরিকদের অস্ত্রের প্রয়োজন।’ রয়টার্স। পশ্চিম তীরে একজন বসতি স্থাপনকারী শিমরিত বেন আরোশ। বন্দুক লাইসেন্স পেতে আগ্নেয়াস্ত্র প্রশিক্ষণের জন্য যাচ্ছিলেন ইসরাইলের সেন্ট্রাল কেফার সাবার একটি শুটিং রেঞ্জে।
বলেন, ‘আমার ছয়জন সন্তান আছে।গত ৭ অক্টোবরের ঘটনার পর আমি অনুভব করি, আমার নিজেকে অবশ্যই রক্ষা করতে হবে। খুব ভীতিকর রাত কাটিয়েছি। আমি আমার সন্তানদের রক্ষা আর নিরাপদে থাকার জন্য একটি বন্দুকের লাইসেন্স পেতে চাই।স্বাভাবিক সময়ে ইসরাইলে আগ্নেয়াস্ত্র ক্রয়-বিক্রয় ছিল অত্যন্ত সীমাবদ্ধ। বেসামরিক নাগরিকদের লাইলেন্স পাওয়ার সংখ্যাও ছিল অনেক সীমিত।
আর কারও আবেদনের প্রক্রিয়াজাত হতেও সময় লেগে যেত কয়েক মাস। আর এখন অনলাইনের মাধ্যমে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে তা পেয়ে যাচ্ছেন অনেকে। বন্দুকের দোকান আর শুটিং রেঞ্জগুলোর কর্মীরাও অতিরিক্ত সময় কাজ করছেন। রাখা হচ্ছে নতুন প্রশিক্ষক। ৭ অক্টোবরের আগে কেফার সাবা শুটিং রেঞ্জে প্রতিদিন মাত্র একটি প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হতো।
আর তারা প্রতিদিন তিন থেকে চারটি ধাপে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। শুটিং রেঞ্জের একজন আগেয়াস্ত্র প্রশিক্ষক গিল শেমেশ বলেন, ‘বিপজ্জনক অঞ্চলে বসবাসকারীরা নিজেদের রক্ষায় অস্ত্র পেতে চায়।