22 October 2023 , 4:09:40 প্রিন্ট সংস্করণ
লিভারের সমস্যাগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় ফ্যাটি লিভারের রোগ। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ফ্যাটি লিভার তেমন কোনো ক্ষতি করে না। তবে প্রদাহ চলমান থাকলে ফ্যাটি লিভার থেকে লিভার সিরোসিসও হতে পারে। এ কারণে প্রাথমিক অবস্থাতেই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে জীবনযাপন পদ্ধতি পরিবর্তনের পাশাপাশি কিছু খাবার যোগ করা জরুরি।
ফ্যাটি লিভার সাধারণত দুইটি ভাগে বিভক্ত। প্রথমত, অ্যালকোহোলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ এবং দ্বিতীয়ত, নন অ্যালকোহোলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ। অ্যালকোহোলিক ফ্যাটি লিভারের ক্ষেত্রে সমস্যার মূল কারণ হল অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান। অপরদিকে নন অ্যালকোহিক ফ্যাটি লিভারের ক্ষেত্রে অলস জীবনযাপন ও খারাপ খাদ্যাভ্যাসই মুল সমস্যা।
এমন কিছু সবজি আছে যেগুলো ফ্যাটি লিভারের সমস্যা কমাতে সহায়তা করে। যেমন-
বিটরুট: এই সবজি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভাণ্ডার যা কিনা লিভারের জন্য অত্যন্ত উপকারী। সেই সঙ্গে বিট হল ফাইবার, ফোলেট ও পেকটিনের ভাণ্ডার। আর এই সব উপাদান একত্রে মিলে ফ্যাটি লিভারকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে।
গাজর: গাজর বিটা ক্যারোটিনে ভরপুর একটি সবজি। এ কারণে নিয়মিত গাজর খেলে লিভারে ফ্যাটের সমস্যা অনেক কমে যায়। এমনকী এই অঙ্গের প্রদাহ কমানোর কাজেও উপকারী এই সবজি। এ কারণে সুস্থ থাকতে নিয়মিত গাজর খান।
ব্রকোলি: ব্রকোলিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এই দুই উপাদান ফ্যাটি লিভার নিয়ন্ত্রণ করতে দারুন কার্যকর । এ কারণে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ব্রকোলি রাখেতে পারেন। এতে উপকার পাবেন।
ফুলকপি, বাঁধাকপি: এইসব সবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় এগুলো লিভারের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এমনকী ফ্যাটি লিভার রোগীদের জন্যও উপকারী এসব সবজি। এ কারণে সুস্থ থাকতে নিয়মিত বাঁধাকপি ও ফুলকপি খেতে পারেন।
শাক পাতা : যে কোনও মৌসুমি শাক ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবারের ভাণ্ডার। তাই নিয়মিত শাক পাতার পদ খেলে লিভারসহ দেহের একাধিক অঙ্গ ভালো থাকে।