জাতীয়

কুয়াশার সঙ্গে বাড়তে পারে শীতের তীব্রতা

কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় কনকনে শীতের দাপট শুরু হয়েছে উত্তরাঞ্চল জুড়ে। একই সঙ্গে সারাদেশে ভোরবেলায় কুয়াশা পড়া অব্যাহত রয়েছে। এ অবস্থায় দেশের উত্তর অঞ্চলে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

শনিবার আবহাওয়া অধিদফতরের নিয়মিত পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

রোববার সকাল ৯টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। এ সময় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

এতে আরো বলা হয়, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। তবে এর প্রভাবে শীত ও গরমের কোনো তারতম্য থাকবে না। তবে সমুদ্রে ঢেউ বাড়তে পারে। এই মাসের বাকি দিনগুলোতে সারাদেশে হালকা থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। তবে ডিসেম্বর থেকে ভারী শীত পড়তে পারে। মাসের মাঝামাঝি সময়ে শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কাও রয়েছে।

এদিকে, পদ্মাপাড়ের রাজশাহীতে আবারও বেড়েছে শীতের দাপট। কাঁচের মত স্বচ্ছ শিশির বিন্দুগুলো ভর করেছে সবুজ প্রকৃতিতে। ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে উত্তর জনপদের এই শহর। সকাল সোয়া ৮টা পর্যন্ত সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। বর্তমানে দৃষ্টিসীমা ২শ’ মিটারের নিচে নেমে এসেছে। ভোর থেকে প্রধান সড়কগুলোতে হেড লাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে।

উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। মধ্যরাত থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে শুরু করে। সকাল ৯-১০টা পর্যন্ত কুয়াশায় ঢেকে থাকে চারপাশ। এ সময় হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করে যানবাহন। এমন অবস্থায় ভোগান্তি বেড়েছে অটোরিকশাচালক ও খেটে খাওয়া মানুষ। ঘন কুয়াশা ও শীতের তীব্রতা বাড়ায় সময় মতো কাজে যেতে পারছেন না অনেকে। এতে বয়স্ক ও শিশুদের মাঝে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে বলে জানিয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ।

এদিকে শনিবার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল শ্রীমঙ্গলে। ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ডেইলি-বাংলাদেশ

আরও খবর

Sponsered content