29 October 2023 , 1:34:55 প্রিন্ট সংস্করণ
বায়ুদূষণ ফুসফুসের মারাত্মক ক্ষতি করে। ফুসফুস শরীরের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। শ্বাস-প্রশ্বাসের পাশাপাশি শরীর থেকে দূষিত ও ক্ষতিকর ধোঁয়া বের করে দেওয়া ফুসফুসের কাজ। স্বাস্থ্যকর ফুসফুস হাঁপানি এবং নিউমোনিয়ার মতো অনেক ধরনের রোগ থেকে আমাদের রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে।
করোনা মহামারি এবং ক্রমবর্ধমান দূষণের কারণে আমাদের ফুসফুস দুর্বল হয়ে পড়ছে। ফুসফুস সুস্থ রাখতে স্বাস্থ্যকর খাবার প্রয়োজন। ক্ষতির হাত থেকে ফুসফুসকে রক্ষা করতে ও সুস্থ রাখতে নিয়মিত খাদ্যতালিকায় কয়েকটি খাবার রাখতে পারেন। সেক্ষেত্রে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার যেমন আমলকী, লেবু, কমলা ইত্যাদি বেশ উপকারী। এছাড়াও যেসব খাবার ফুসফুসকে সুস্থ রাখতে ভূমিকা রাখে-
আখরোট: আখরোটে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ফাইটোস্ট্রোজেন পাওয়া যায়। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড হৃৎপিণ্ড, রক্তনালী এবং ফুসফুসকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
আদা: আদার মধ্যে জিঞ্জেরল নামক এক ধরনের উপাদান পাওয়া যায় যা কাশি কমাতে সহায়ক। আদার মধ্যে পাওয়া পুষ্টি ফুসফুস থেকে প্রদাহ এবং সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করতে পারে।
পালং শাক: পালং শাকে বিটা ক্যারোটিন, জিক্সানথিন, লুটেইন এবং ক্লোরোফিল পাওয়া যায়। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক বলে প্রমাণিত। পালং শাকে থাকা ক্লোরোফিল নামক শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফুসফুসকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করতে পারে।
ভিটামিন সি যুক্ত খাবার: ভিটামিন সি শরীরের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। ভিটামিন সি সেবনের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করা যায়। আমলকী, লেবু, কমলা ইত্যাদি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খেলে ফুসফুসকে সুস্থ রাখা যায়।
হলুদ: হলুদে পাওয়া কারকিউমিন উপাদান ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে খুবই সহায়ক বলে মনে করা হয়। কারকিউমিনের প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা ফুসফুসে দূষণের কারণে যে কোনও ফোলাভাব এবং প্রদাহ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে।
মেথি: মেথি ফুসফুসের সমস্যা ও সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়। শ্বাসকষ্ট হলে মেথি খেতে পারেন। চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে কিংবা পানিতে ভিজিয়েও মেথি খেতে পারেন।
আপেল : প্রতিদিন আপেল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বলে মনে করা হয়। ভিটামিন সি, ফাইবার এবং পটাসিয়ামসহ আপেলে অনেক পুষ্টি পাওয়া যায় যা ফুসফুস এবং পুরো শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করতে পারে।