আন্তর্জাতিক

এবার পাকিস্তানে বিক্ষোভের ডাক শিক্ষার্থীদের

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন দেশটির শিক্ষার্থীরা। আগামী ৩০ আগস্টের মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে সরকারকে আলটিমেটাম জারি করেছে পাকিস্তান স্টুডেন্ট ফেডারেশন (পিএসএফ)। পিএসএফ সতর্ক করেছে যে, তাদের দাবি পূরণ না করা হলে দেশব্যাপী বিক্ষোভ শুরু হবে। এর আগে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন সময়ে বিক্ষোভ করেছেন ইমরান খানের সমর্থকরা । তবে তাতে তেমন গুরুত্ব দেয়নি সরকার।

এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তান জুড়ে ইন্টারনেট ব্যবহারে বিঘ্নের মুখে পড়েছেন ব্যবহারকারীরা । কোথাও ইন্টারনেট বন্ধ রয়েছে। কোথাও খোলা থাকলেও গতি বেশ কম বিষয়টি নিয়ে ইন্টারনেট সংযোগ সরবরাহকারীরা কিছুই বলতে পারছে না। মুখ খুলছেন না পাকিস্তান টেলিকমিউনিকেশন অথরিটি (পিটিএ)। গত ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের আগে-পরে এক্স (সাবেক টুইটার) বন্ধ করে দিয়েছিল পাকিস্তান সরকার।

জাতীয় নিরাপত্তার প্রতি হুমকি বিবেচনায় এটা করা হয়। বুধবার ব্যবহারকারীরা অনেক ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারেননি। এসব ওয়েবসাইটে ঢুকতে ভিপিএন ব্যবহার করতে হয়।দেশটির হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা জানান, পাকিস্তান জুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটিতে বার্তা পাঠাতে কিংবা কোনো কনটেন্ট আপলোড ও ডাউনলোড করতে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি সময় লাগছে। অনেক সময় সেটাও করা যাচ্ছে না।নেটিজেনদের অভিযোগ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে বিঘ্ন ঘটানোর মাধ্যমে সরকার শুধু যোগাযোগে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে না, বরং মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করছে। সেই সঙ্গে বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি লঙ্ঘিত হচ্ছে৷

ইন্টারনেট-সংযোগ ব্যাহত হওয়ার বিষয়ে পিটিএর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও গণমাধ্যমকে তারা নিশ্চিত করে কিছু বলেনি।সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ডিজিটাল জার্নালিজম নিয়ে শঙ্কার জেরে গত মাসে পাকিস্তানে একটি ফায়ারওয়াল ট্রায়াল দেওয়া হয়। এর পরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন আ্যাপগুলো চালাতে সমস্যায় পড়েন ব্যবহারকারীরা। গত মাসে সরকারি কর্মকর্তারা জানান, ফায়ারওয়াল ট্রায়াল শেষ হওয়ার পর ইন্টারনেটের গতি স্বাভাবিক হবে।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ ডটকম বলছে, সরকারের পক্ষ থেকে কিছু বলা না হলেও এ নিয়ে মন্তব্য করেছে দেশটির ওয়্যারলেস অ্যান্ড ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস আ্যাসোসিয়েশন অব পাকিস্তান (ডব্লিউমাইএসপিএপি)৷ তারা বলছে, নিরাপত্তা ও নজরদারি বাড়াতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে।এমন এক সময় ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হলো, যখন সম্প্রতি পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ভবিষ্যদ্বাণী করেন, দেশটির বর্তমান সরকারের হাতে আর মাত্র দুই মাস রয়েছে৷ এর বেশি দিন টিকবে না।

প্রবল আন্দোলনে সরকারের পতন হবে। সম্প্রতি কারাগারে থেকেই সাংবাদিকদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিকভাবে কথা বলার সময় এ মন্তব্য করেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতা ইমরান খান।পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম পাকিস্তান টুডে ও সামা টিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়৷ ইমরান খান বলেন, ‘আমি কারাগারে থেকে ভবিষ্যদ্বাণী করছি, সরকার কাদার মধ্যে পড়ে গেছে। আর উঠে দাঁড়াতে পারবে না। আবারও ক্ষমতায় আসার আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘আমার হাতে তো অনেক সময় আছে। কিন্তু তাদের হাতে সময় নেই। তারা বোকা, কিছুই বুঝতে পারছে না।