জাতীয়

খেটে খাওয়া মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাই আ.লীগের একমাত্র লক্ষ্য বললেন শেখ হাসিনা

খেটে খাওয়া মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাই আ.লীগের একমাত্র লক্ষ্য বললেন শেখ হাসিনা

বর্তমানে বাংলাদেশে বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশে নেমে এসেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (১ মে) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মহান মে দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান। এসময় খেটে খাওয়া মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাই আওয়ামী লীগের একমাত্র লক্ষ্য বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের প্রসারে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিনা পয়সায় বই দিই, সাথে সাথে কারিগরি শিক্ষা ও ভোকেশনাল ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা আমরা করে দিচ্ছি। যেন কর্মক্ষেত্রে তারা সুযোগ পায়।তিনি বলেন, কর্মসংস্থান বাড়ানোর জন্য ব্যাপক হারে বেসরকারি খাতকে উন্মুক্ত করে দিয়েছি। যেটা আগে ছিল না।

সরকারে আওয়ামী লীগ আসার পরে যেটা আমরা করেছি, যাতে আরও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়। আজকে আমাদের বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশে নেমে এসেছে। যা প্রায় ২/৩ গুণ বেশি ছিল।শেখ হাসিনা আরও বলেন, কর্মসংস্থান ব্যাংক করে দিয়েছি। যেকোনো যুবক সেখানে বিনা জামানতে ঋণ নিতে পারে। ঋণ নিয়ে নিজের ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারে। সেই সুযোগটা আমরা তৈরি করে দিয়েছি।

যতবার সরকারে এসেছি ততবারই মজুরি বৃদ্ধি করেছি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৯৬ সালে বিরোধী দলে থাকাকালে আমি শ্রমিকদের দেখেছি, তাদের মজুরি ছিল মাত্র ৮০০ টাকা। তখন সরকারে এসে আমরা মজুরি বাড়িয়েছিলাম। শ্রমিকদের আরো উপযুক্ত করে গড়ে তোলা আমাদের লক্ষ্য।শেখ হাসিনা বলেন, খেটে খাওয়া মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাই আওয়ামী লীগের একমাত্র লক্ষ্য।

আমরা সব সময় সেই পদক্ষেপ নিই। জাতির পিতা যখন দেশটাকে গড়ে তুলেছেন, তখন যে সব মালিক বাংলাদেশে ছিল শিল্প কলকারখানা মালিক তারা হবেন। আর যেগুলো মালিকানাবিহীন সেগুলো সরকার চালাবে। সে ব্যবস্থাও তিনি করেছিলেন, সরকারি খাতকেও গুরুত্ব দিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, মা যেমন একটা রুগ্ন সন্তানকে বুকে নিয়ে লালন-পালন করে গড়ে তোলেন, ঠিক সেভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্বাধীনতার পর শূন্য হাতে একটা যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ গড়ে তোলার দায়িত্ব হাতে নিয়ে সব কলকারখানা জাতীয়করণ করেন। শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নেন।

তাদের কর্মসংস্থান যাতে ঠিক থাকে সে পদক্ষেপটাই তিনি হাতে নিয়েছিলেন।শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য মজুরি কমিশন গঠনের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, মে দিবসের সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন বঙ্গবন্ধু। এদেশে মানুষের মধ্যে যে বৈষম্য সে বৈষম্য তিনি দূর করতে চেয়েছিলেন।