17 February 2024 , 3:52:17 প্রিন্ট সংস্করণ
১৯৯৬ সালের ২৫ এপ্রিল গ্রামীণ ব্যাংকের বোর্ড সভায় গ্রামীণ কল্যাণ গঠনের প্রস্তাব আনা হয়। ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, গ্রামীণ ব্যাংকের সদস্য ও কর্মীদের কল্যাণে কোম্পানি আইন ১৯৯৪ এর আওতায় ‘গ্রামীণ কল্যাণ’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান গঠন করা হবে। গ্রামীণ কল্যাণ ভবনে অবস্থিত গ্রামীণ টেলিকম ‘জবরদখলে’র অভিযোগ করেছেন নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুস। আইনশৃঙ্খলাবাহিনীও কিছু করছে না বলেও জানান তিনি।
তবে গ্রামীণ কল্যাণের মেমোরেন্ডাম এবং আর্টিকেলে ড. ইউনুসের দাবির পক্ষে কোন সত্যতা মেলেনি। যে প্রতিষ্ঠানগুলো তিনি নিজের দাবি করেছেন, সবগুলোই গ্রামীন ব্যাংকের শাখা প্রতিষ্ঠান।১৯৯৬ সালের ২৫ এপ্রিল গ্রামীণ ব্যাংকের বোর্ড সভায় গ্রামীণ কল্যাণ গঠনের প্রস্তাব আনা হয়। ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, গ্রামীণ ব্যাংকের সদস্য ও কর্মীদের কল্যাণে কোম্পানি আইন ১৯৯৪ এর আওতায় ‘গ্রামীণ কল্যাণ’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান গঠন করা হবে। সিদ্ধান্তটি বোর্ড সভায় অনুমোদন পায়।
আইন অনুযায়ী এটি গ্রামীণ ব্যাংকের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। গ্রামীণ কল্যাণের মেমোরেন্ডাম এবং আর্টিকেলেও গ্রামীণ ব্যাংকের সঙ্গে এর সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মেলে।মেমোরেন্ডাম এবং আর্টিকেল অনুযায়ী, গ্রামীণ কল্যাণের নয় সদস্যের পরিচালনা পরিষদের দুইজন গ্রামীণ ব্যাংকের মনোনীত প্রতিনিধি। এছাড়াও গ্রামীণ কল্যাণে চেয়ারম্যান হবে গ্রামীণ ব্যাংকের মনোনীত প্রতিনিধি। গ্রামীণ ব্যাংকের মনোনীত প্রতিনিধি হিসাবে গ্রামীণ কল্যাণের চেয়ারম্যান হন ড. ইউনূস।
এরপর গ্রামীণ কল্যাণের মাধ্যমে ১৩ টি প্রতিষ্ঠান গঠন করেছেন।যার সবগুলোরও চেয়ারম্যান হন তিনি।অথচ আইনগতভাবে এটি একটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান, যার মালিক গ্রামীণ ব্যাংক। তাহলে কিভাবে গ্রামীণ ব্যাংকের লোকজন গ্রামীণ কল্যাণ ভবনের অফিস দখল করে নিচ্ছে? গ্রামীন সংস্লিষ্টরা বলছেন নিজের কর্তৃত্ব ধরে রাখতেই গ্রামীণ ভবন দখলের নাটক সাজিয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনুস।
আইনগতভাবে গ্রামীণ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান, যার মালিক গ্রামীণ ব্যাংক। ড. মুহাম্মদ ইউনুস নন। অবৈধভাবে গ্রামীন কল্যানকে ব্যবহার করে আরও ১৩ টি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন তিনি। কোম্পানির কাঠামো, গঠন এবং মেমোরেন্ডামই তার প্রমাণ, যা জনসম্মুখে উন্মুক্তের দাবিও করেন সংশ্লিষ্টরা।