আন্তর্জাতিক

আবারও মুখোমুখি হবেন ট্রাম্প-বাইডেনই

আবারও মুখোমুখি হবেন ট্রাম্প-বাইডেনই

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সবচেয়ে নজরকাড়া প্রতিযোগিতা- প্রাইমারি নির্বাচন। এবার সেই নির্বাচন চলমান থাকলেও আগের মতো উত্তাপ, উত্তেজনা নেই। এর কারণ রিপাবলিকান দল থেকে বেশির ভাগ প্রার্থী একে একে ঝরে গেছেন। সর্বশেষ টিকে ছিলেন সাউথ ক্যারোলাইনার সাবেক গভর্নর নিকি হ্যালি। তিনিও বিদায় নিয়েছেন লড়াই থেকে।

ফলে নির্বাচনের মাঠ এখন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য উন্মুক্ত। তিনিই দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত করে ফেলেছেন।ফলে আগামী ৫ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবারও চারটি রাজ্য, একটি আমেরিকান টেরিটরি এবং বিদেশে অবস্থানরত মার্কিনিরা প্রাইমারিতে ভোট দিয়েছেন।

এর যে অর্থ হবে তার মানে আগামী আট মাসের মধ্যে ২০২০ সালের নির্বাচনি প্রেক্ষাপট নতুন করে মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছে।দল দুটি থেকে চূড়ান্ত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হবে এই গ্রীষ্মে দলীয় কনভেনশন থেকে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ৮১ বছর বয়সি জো বাইডেন তাকে ভোট দেওয়ার জন্য নিজেকে সম্মানিত বোধ করছেন বলে জানিয়েছেন।তিনি বলেছেন, এই নির্বাচন এমন সময়ে হচ্ছে যখন এ যাবতকালের বড় হুমকি হয়ে উঠেছেন ট্রাম্প।

ইতিবাচক অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, সমস্যা থেকে ফিরে আসার মধ্যম পর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্র। একটি গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে ভবিষ্যত নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে এ দেশ। এর মধ্যে আছে গর্ভপাত নিষিদ্ধকরণ এবং সামাজিক কর্মকাণ্ড কমিয়ে আনা।প্রচারণা থেকে জো বাইডেন বলেন, আমি বিশ্বাস করি, ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে আমাদেরকে বেছে নেবে যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ।

ক্ষমতাসীন হিসেবে স্বাভাবিকভাবে সুবিধা পাচ্ছেন বাইডেন। তার দল ডেমোক্রেট থেকে মনোনয়নের ক্ষেত্রে বড় রকমের কোনো গুরুতর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে না তাকে। তার বয়স নিয়ে উদ্বেগ আছে, তিনি বয়সের ভারে ন্যুজ, ফলে দায়িত্ব পালনে সক্ষম হবেন কি না, তা নিয়ে আছে উদ্বেগ। তা সত্ত্বেও তার দল তার প্রতিই আনুগত্য দেখাচ্ছে।

অন্যদিকে ৭৭ বছর বয়সি ট্রাম্প রিপাবলিকান ভোটারদের মধ্যে এখনও ভীষণ জনপ্রিয়। এ কারণে তিনি একের পর এক রাজ্যে প্রাইমারিতে বিজয়ী হচ্ছেন। প্রথম মেয়াদে ক্ষমতায় এসে তিনি সীমান্ত সিল করে দেওয়ার তৎপরতা চালান, অবৈধ অভিবাসীদের বের করে দিয়ে রেকর্ড গড়তে চেয়েছেন।

একই সঙ্গে তিনি ক্রাইমের বিরুদ্ধে যুদ্ধ, আভ্যন্তরীণ জ্বালানি বা বিদ্যুত উৎপাদন বৃদ্ধি, বৈদেশিক আমদানির ওপর আয়কর, ইউক্রেন যুদ্ধের ইতি এবং বৈশ্বিক সম্পর্কের বিষয়ে ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতি চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত প্রাইমারি নির্বাচনের ফল কোনো আশ্চর্য হিসেবে আসেনি। দুই দলের এই দুই হেভিওয়েট প্রার্থীই সামনের লড়াইয়ে টিকে থাকছেন। বিশ্ব তাকিয়ে আছে গণতন্ত্র চর্চার একটি মহাযজ্ঞ দেখার অপেক্ষায়।