ভিন্ন স্বাদের খবর

বাসার টবে ক্যাপসিকাম চাষের পদ্ধতি জেনেনিন

বাসার টবে ক্যাপসিকাম চাষের পদ্ধতি জেনেনিন

বেলে দোআঁশ বা দোআঁশ মাটি ক্যাপসিকাম চাষের জন্য ভালো। ক্যাপসিকাম গাছের সহ্যশক্তি কম থাকায় মাটি ঝুরঝুর করে ব্যবহার করা উচিত। ক্যাপসিকামের গাছ গ্রীষ্ম, বর্ষা, শীত সব মৌসুমে চাষ করা যায়।চারা রোপণ: টবে গাছ লাগানো ক্ষেত্রে উপযুক্ত মাটি ও ৩০-৪০দিন বয়সের চারা প্রয়োজন। যে কোনো সাইজের টবে এই গাছ রোপণ করা যায়।

তবে একটি টবে একটি গাছ রোপণ করাই উত্তম।পরিচর্যা: গাছের গোড়ায় আগাছা জন্মাতে দেয়া যাবে না। আগাছা দেখলেই নিড়ানি দিয়ে ফেলে দিতে হবে। মিষ্টি মরিচ গাছের সহ্যশক্তি কম থাকায় খরা বা জলাবদ্ধতা কোনোটাই সহ্য করতে পারে না। তাই প্রয়োজন মতো পানি দিতে হবে এবং জলাবদ্ধতা রোধে সুষ্ঠু নিষ্কাশন ব্যবস্থা করতে হবে।

গাছ হেলে পড়া রোধে খুঁটির ব্যবস্থা করতে হবে।বালাই ব্যবস্থাপনা: মিষ্টি মরিচ গাছে সাধারণত কিছু পোকামাকড়, ছত্রাক ও ভাই’রাসজনিত রোগের আক্র’মণ হয়ে থাকে। পোকার মধ্যে জাবপোকা, এফিড, থ্রিপস, লালমাকড় ও মাইট আ’ক্রমণ করে। ছ’ত্রাকজনিত সাধারণত এনথ্রাক’নোজ, উইল্কল্ট রো’গে আ’ক্রান্ত হয়।ভাই’রাসজনিত রোগে পাতায় হলদে দাগ পড়ে এবং পাতা কুঁকড়ে আসে।

এ রোগে গাছ তুলে মাটিতে পুঁতে ফেলা বা পুড়িয়ে ফেলা ছাড়া উপায় নেই। ভাই’রাসজনিত রোগের জন্য তেমন কোনো কী’টনাশক পাওয়া যায় না। এছাড়া পোকা বা ছ’ত্রাকজনিত রোগের আক্রমণ হলে কৃষিকর্মীর পরামর্শ অনুযায়ী কী’টনাশক প্রয়োগ করতে হবে।

ফসল সংগ্রহ: মিষ্টি মরিচ সাধারণত সবুজ অবস্থায় খাওয়া হয়। তাই মরিচের রঙ লালচে হওয়ার আগে পরিপক্ক সবুজ অবস্থা সংগ্রহ করতে হবে। সপ্তাহে একবার মরিচ সংগ্রহই উত্তম।