17 January 2024 , 3:31:33 প্রিন্ট সংস্করণ
ওয়েস্ট ইন্ডিজের তরুণ খেলোয়াড়দের দেশের দায়িত্ব ছেড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের দিকে ঝুকে পড়ার প্রবণতাকে শুধুমাত্র ক্রিকেটারদের দায় হিসেবে দেখেন না ক্যারিবীয় কিংবদন্তি ব্রায়ান লারা। ক্রিকেট সবসময়ের মতো বর্তমান সময়েও জীবিকা অর্জনের অংশ হিসেবে মনে করেন তিনি।অস্ট্রেলিয়া সফরে উইন্ডিজ দলের মেন্টর হিসেবে এসেছেন ব্রায়ান লারা। সেখানেই এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ’৪০-৫০ বছর আগে জাতীয় দলে খেলার জন্য কেবল মাত্র অনুপ্রেরণাই যথেষ্ঠ ছিল।
এখন ১৮-১৯ বছরের কোনো ক্রিকেটার যদি টেস্ট না খেলে অতিরিক্ত উপার্জনের জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলতে চায় তাহলে তাকে আপনি দোষ দিতে পারবেন না। ক্রিকেটের বিশ্বায়নে কাঠামো ও আর্থিক ব্যবস্থাই এমনভাবে বদলে গেছে। ক্রিকেট তাদের জীবিকা উপার্জনের মাধ্যম।চলতি টেস্ট সিরিজে এক ঝাঁক নতুন খেলোয়াড় নিয়ে অস্ট্রেলিয়া সফরে এসেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। গত বছর নিয়ে আসা স্কোয়াডে মাত্র পাঁচজন অবশিষ্ট আছেন এবারের স্কোয়াডে। প্রথম টেস্টে অভিষেক হয়েছে তিন উইন্ডিজ ক্রিকেটারের।
যা দেখে জেফ দুজন `কসাইখানায় ভেড়ার পাল’ বলে মন্তব্য করেন।এমন অবস্থায় লারা আরও বলেন, ‘আমাদের বাস্তবতা মেনে নিতে হবে। অস্ট্রেলিয়া বা ইংল্যান্ড তাদের ক্রিকেটারদের অনেক বেশি পারিশ্রমিক দেয় বলেই তারা জাতীয় দলে খেলে বিষয়টা এমন নয়। তাদের কাঠামোই তারা এমনভাবে গড়ে নিয়েছে যে জাতীয় দলকে প্রতিনিধ্ত্বি করতে পারা অনেক বেশি গর্বের বিষয় হিসেবে দেখে তরুণ ক্রিকেটাররা।তিনি যোগ করেন, ‘আমাদের বর্তমান প্রজন্ম দিয়ে এ কাঠামো বদলানো সম্ভব না।
ভবিষ্যতের দিকে দৃষ্টি দিয়ে আমাদের উচিত বয়সভিত্তিক এবং বিদ্যালয়ভিত্তিক উঠতি ক্রিকেটারদের দিকে বেশি মনোযোগ দেওয়া। ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজের আর্থিক অবস্থাও খুব সুসংগঠিত নয়। তাই ক্রিকেটারদের মধ্যে বিশ্বস্ততার সংস্কৃতি গড়ে তোলার দিকে বেশি মনোযোগী হওয়া উচিত এখন। কেন আমরা উইন্ডিজ জার্সির প্রতিনিধিত্ব করবো এটা জানা সবার আগে জরুরি।