সারা দেশ

পুতুলের গায়ে ১০১টি সুঁই এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি

পুতুলের গায়ে ১০১টি সুঁই এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি

লাল সাদা রঙের একটি পুতুলের গায়ে ১০১টি সুঁই ঢুকানো পুতুল দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের একটি পরিবার। যার ফলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে ওই এলাকায়। কুড়িগ্রাম পৌর শহরের কলেজ পাড়া এলাকার মৃত মাজেদুল ইসলামের বাড়িতে ঘটনাটি ঘটেছে। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে বাড়ির ভিতর থেকে পুতুলটি উদ্ধার করে ওই পরিবারটি।

স্থানীয়রা জানান, সকালে মাজেদুল ইসলামের বাড়িতে চিল্লাচিল্লা শুনে বাড়িতে গিয়ে দেখতে পাই একটা লাল সাদা পুতুলের গায়ে অনেকগুলো সুঁই ঢুকানো। তারা বলছেন কেবা কাহারা যাদু টোনা করা জন্যই হয়ত এমনটা করেছে। এমন পুতুল দেখে পরিবারটি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। বাড়িটির বাসিন্দা মর্জিনা বেগম (৩৬) বলেন, আমি সকালে ঘুম থেকে উঠে নামাজ পড়ে হাঁটতে বাহির হই।

পরে বাড়ি এসে মেয়েকে স্কুলে যাওয়ার জন্য রেডি করতে ছিলাম। হঠাৎ আমার মেয়ের চোখে পুতুলটি পড়ে। সে পুতুলটি নিতে গেছে গিয়ে দেখে ১০১টি সুঁই ঢুকানো পুতুলে। তিনি আরও বলেন, পরে আমি আমার ভাইকে ঢাকি এবং পাড়া-প্রতিবেশিদের খবর দেই। আমাদের তো কারও সাথে কোন ঝগড়া বিবাদ নেই। কেন মানুষ এমনটা করলো, এটা নিয়ে আমরা সবাই অনেক দুশ্চিন্তায় আছি।

স্থানীয় সাংবাদিক ফিরোজ আলম মনু বলেন, আমাদের এলাকার একটি বাড়িতে কেবা কাহারা একটি পুতুল রেখে গেছেন। পুতুলের গায়ে ১০১টি সুঁই লাগানো। এমন দেখে পরিবারটি দুশ্চিন্তায় আছেন আরকি। সবমিলিয়ে এলাকায় একটা চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সরদারপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মোঃ শাহাজাহান আলী বলেন, যাদু টোনা করার উদ্দেশ্য কেউ এটা করেছে কিনা দেখলে বোঝা যাবে।

পুতুলটির গায়ে কারো নাম লেখা থাকলে এটা কালা যাদুর মধ্যে পড়ে। হাদিসেও যাদু-টোনা উল্লেখ আছে বলে জানান তিনি। কুড়িগ্রামের সাবেক সিভিল সার্জন ডা. এস.এম আমিনুল ইসলাম জানান, প্রতারণা করার জন্য কিছু মানুষ এ ধরনের কাজ করে আসছে।

যার বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। ভিকটিমকে ধারণা দেওয়া হয় এই সুঁই পুতুলের শরীরে ফোটালে শত্রুর শরীরে গিয়ে আঘাত লাগবে। যাকে স্থানীয়ভাবে কালো যাদু কিংবা বান মারা বলা হয়ে থাকে। কিছু মানুষ অর্থ উপার্জনের জন্য এসব করে থাকেন।