আন্তর্জাতিক

শুরু হয়েছে ভোট গ্রহণ নজর রাখছে যুক্তরাষ্ট্র-চীন

শুরু হয়েছে ভোট গ্রহণ নজর রাখছে যুক্তরাষ্ট্র-চীন

চীনের স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপ ভূখণ্ড তাইওয়ানে প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল থেকে দেশটির রাজধানী তাইপেসহ দ্বীপরাষ্ট্রটির বিভিন্ন এলাকায় শত শত ভোটকেন্দ্রে ভোটাররা ভোট দিতে আসছেন।স্থানীয় সময় শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে।

পৃথক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে আল জাজিরা ও বিবিসি।নির্বাচনে মূলত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে তাইওয়ানের দুই বড় রাজনৈতিক দল ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি (ডিকেকে) এবং কুওমিনটাংয়ের মধ্যে। তবে দেশটির রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ক্ষমতাসীন ডিকেকের জয়ের সম্ভাবনা বেশি। আর ডিকেকে কাঙ্ক্ষিত জয় পেলে টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করতে পারবে দলটি।

এদিকে কোনো ভোটকেন্দ্রেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন রাখেনি তাইওয়ানের নির্বাচন কমিশন। তাই ভোটারকে ব্যালট পেপার ব্যবহারের মাধ্যমে ভোট দিতে হচ্ছে।১ কোটি ৯৫ লাখ ভোটারের দ্বীপ রাষ্ট্রটির কর্তৃপক্ষের আশা আজই ভোট গ্রহণ শেষ হলে সন্ধ্যার মধ্যেই ভোটের ফলাফল প্রকাশ করা সম্ভব হবে।

নির্বাচনে ডিকেকের পক্ষে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হয়েছেন তাইওয়ানের বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম লাই। অন্যদিকে বৃহত্তম বিরোধী দল কুওমিনটাংয়ের পক্ষে প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দলটির শীর্ষ নেতা হোন-ইউ ইহ। এই দুজন ছাড়াও নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাইপের সাবেক মেয়র এবং তাইওয়ান পিপলস পার্টির (টিপিপি) শীর্ষ নেতা কো ওয়েন জে।

তাইওয়ানের সংবিধান অনুসারে, কোনো নাগরিক সেখানে টানা দুই বারের বেশি প্রেসিডেন্ট পদে থাকতে পারেন না। তাই এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি ভূখণ্ডটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন।একসময় চীনের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত তাইওয়ানকে গত ৭ দশকেরও বেশি সময় ধরে নিজেদের বলে দাবি করে আসছে চীন। এই ইস্যুতে চীন বরাবর ‘ওয়ান চায়না’ নীতিতে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাসী।

দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সম্প্রতি বলেছেন, চীনের মূল ভূখণ্ডে তাইওয়ানের অন্তর্ভুক্তি কেউ ঠেকাতে পারবে না।অন্যদিকে তাইওয়ান সবসময়ই নিজেদের স্বাধীন ও সার্বভৌম বলে দাবি করে আসছে। তবে এই দাবিকে এখনো স্বীকৃতি দেয়নি বিশ্বের অধিকাংশ দেশ।তবে তাইওয়ানকে বরাবর সমর্থন জানিয়ে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র। আর তাই দ্বীপরাষ্ট্রটির এবারের নির্বাচনে কড়া নজর রাখছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন।

আরও খবর

Sponsered content