রাজনীতি

এবার নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন বিএনপি নেতা তপু

এবার নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন বিএনপি নেতা তপু

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নুরুজ্জামান লস্কর তপু। রোববার দুপুরে সরাইল সদরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই ঘোষণা দেন।এ সময় উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ডি এম দুলালসহ উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এডভোকেট নুরুজ্জামান জানিয়েছেন, তারেক রহমানের নির্দেশ ও বিএনপির কমিটির সিদ্ধান্তের আলোকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া বিএনপির অপর নেতাকর্মীরাও দলকে ভালোবেসে হাই কমান্ডের নির্দেশ বাস্তবায়নে অতি দ্রুতই এই সরকারের ডামি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন বলেও জানান তিনি। জানা যায়, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এডভোকেট তপু মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

সোমবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার তারিখ। একদিন আগেই আজ তিনি সংবাদ সম্মেলন ডেকে আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেন।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তপু বলেন, অবৈধ এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরানোর জন্য রাজপথে আন্দোলন করছে বিএনপি। এই সরকারের পাতানো ও ডামি নির্বাচনে অংশ গ্রহণও করছে না দল। তাই দেশ নায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্তে আমার ব্যাপক জনপ্রিয়তা থাকা সত্ত্বেও নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালাম।

নিশ্চিত জয়ের সম্ভাবনা থাকলেও আমি সরে দাঁড়ালাম; কারণ ব্যক্তির চেয়ে দল বড়।তাই দলের সিদ্ধান্তকে আমি মাথা পেতে নিয়েছি। সরাইল বিএনপি ও দলটির অঙ্গ সংগঠনের কোনো নেতাকর্মী এই সরকারের ডামি নির্বাচনের দিন ভোট কেন্দ্রেও যাবেন না। আমরা অবৈধ সরকারকে হঠাতে আন্দোলনে রাজপথে আছি। রাজপথেই থাকব।এক প্রশ্নের জবাবে তপু বলেন, যারা বিএনপি পরিবারের সদস্য। যারা বিএনপিকে মনে প্রাণে ভালোবাসেন। তারা অবশ্যই দলের সিদ্ধান্ত মেনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন।

সরে না দাঁড়ালে বুঝতে হবে তারা দলের কেউ না। তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই দলীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।সভাপতি আনিছুল ইসলাম ঠাকুর বলেন, সরাইলের মাটি বিএনপির ঘাটি। এই ঘাটি থেকে বিএনপির সত্যিকারের কোনো নেতাকর্মী ৮ মের নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে পারেন না। এমনকি ওই দিন দলের কোনো লোক ভোট কেন্দ্রেও যাবেন না। যে কেন্দ্রে ভোট বেশি কাস্ট হবে বুঝে নিতে হবে ওই কেন্দ্রে বিএনপির লোকজন ভোট দিয়েছে। ওই ওয়ার্ড বিএনপির নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও খবর

Sponsered content