সারা দেশ

প্রাণ গেল ব্যবসায়ীর পর পর ৪ ইনজেকশনে

প্রাণ গেল ব্যবসায়ীর পর পর ৪ ইনজেকশনে

পাবনা সদর উপজেলার দোগাছিতে এক পল্লী চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় হাসমত আলী শেখ (৪০) নামে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।স্বজনদের অভিযোগ, পল্লী চিকিৎসক পর পর ৪টি ইনজেকশন পুশ করতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন হাসমত আলী। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ময়নাতদন্তের পর পুলিশ পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করে।

এর আগে বেলা ১১টার দিকে নিজ বাড়িতে তিনি মারা যান।নিহত হাসমত আলী সদর উপজেলার দোগাছি ইউনিয়নের দোগাছি মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত আবুল মজিদ প্রামাণিকের ছেলে। তিনি এলাকায় একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। অভিযুক্ত পল্লী চিকিৎসক দোগাছির চিথুলিয়া গ্রামের আব্দুল জব্বার শেখের ছেলে আতিকুজ্জামান ওরফে সুমন মহুরি।

স্বজনরা জানান, গত তিন দিন ধরে বুকে জ্বালাপোড়া ও যন্ত্রণায় ভুগছিলেন হাসমত। সোমবার রাতে তিনি গ্যাসের ট্যাবলেট খেয়েও আরাম পাননি। মঙ্গলবার বুকের ব্যথা ও যন্ত্রণা বেশি হলে পল্লী চিকিৎসক সুমনকে হাসমতের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। সুমন রোগীকে দেখেই পর পর ৪টি ইনজেকশন পুশ করেন। এই ইনজেকশন পুশ করার সঙ্গে সঙ্গেই হাসমত আলী মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।

এদিকে মৃত্যুর পর পরই অভিযুক্ত চিকিৎসকের ফার্মেসি ভাঙচুর করে ও ওষুধ পুড়িয়ে দেন স্থানীয়রা।এ বিষয়ে পল্লী চিকিৎসক আতিকুজ্জামান ওরফে সুমন মহুরি বলেন, হাসমত আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। আমরা সব সময় একসঙ্গে চলাচল করেছি। সকালে তার বুকে ব্যথা বেশি হলে আমি গিয়ে প্রথমে হাসপাতালে নেওয়ার কথা বলেছি। এর পর একটা সার্জেল গ্যাসের ইনজেকশন পুশ করি।

হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়। আসলে তার মৃত্যুর জন্য কোনোভাবেই দায়ী নই। অযথা আমার ফার্মেসির দোকান ভাঙচুর করে ওষুধ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।এর আগে আপনার ভুল চিকিৎসায় আরও দুজন রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ রয়েছে— এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।বনার সিভিল সার্জন শহিদুল্লাহ দেওয়ান বলেন, এ বিষয়ে এখনো আমরা কোনো অভিযোগ পাইনি। পল্লী চিকিৎসকদের কোনো অনুমতি থাকে না। সে জন্য ওইভাবে রোগীর রেজিস্ট্রারও থাকে না।

যদি কোনো ক্লিনিক বা হাসপাতাল হতো তা হলে রেজিস্ট্রার থাকত। তখন আমরা প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে তদন্ত করতে পারতাম। যদি কেউ অভিযোগ দেয় তা হলে খতিয়ে দেখা হবে।

%d bloggers like this: