রাজনীতি

আবারও মানবাধিকার লঙ্ঘনে বিএনপি রেকর্ড করেছে

আবারও মানবাধিকার লঙ্ঘনে বিএনপি রেকর্ড করেছে

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনে বিএনপি এমন রেকর্ড করেছে, যার নজির সমসাময়িক বিশ্বে নেই। এ দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনে বিএনপি যে ঘৃণ্য, জঘন্য, নিকৃষ্টতম নজির স্থাপন করেছে, তা বিশ্বের কোথাও নেই। বিশ্বের সব রেকর্ড তারা ভঙ্গ করেছে। এ কথা আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই।

তাদের মুখে মানবাধিকারের কথা শোভা পায় না।ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।ওবায়দুল কাদের বলেন, জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার আমলে দেশে যেভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে তাতে তাদের লজ্জা করে না। আজ তারা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘনে প্রথম। অথচ ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে ক্ষমতায় থাকতে তারা আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতাকর্মী হত্যা করেছে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, মানবাধিকার লুণ্ঠিত হচ্ছে যাদের হাতে, তারাই মানবাধিকার নিয়ে বেশি সোচ্চার। তবে আন্তর্জাতিকভাবে আমরা দেখলাম যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা ১৩টি দেশের ৯০ জনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ নেই। তিনি বলেন, গতানুগতিক কর্মসূচি অবরোধ, হরতাল-এটা বিএনপির ব্যর্থ আন্দোলনের ফল। তাদের কথা শুনলে মনে হয় বিশ্ব মোড়লের সোল এজেন্ট।আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মানবাধিকারের কথা বলতে হলে ফিলিস্তিনের কথা বলতে হবে।

১৮ হাজার মানুষ মেরেছে, এখনো চলছে। অথচ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ইসরাইলের পক্ষে একমাত্র সমর্থন দিল যুক্তরাষ্ট্র। এ থেকে ইসরাইল নামক দুষ্ট ছেলে আমেরিকার সন্তান আবারও তা প্রমাণ হলো।ওবায়দুল কাদের বলেন, এ দেশে স্বাধীনতার পর ১৫ আগস্টের ঘটনা বিশ্ব ইতিহাসে বিরল। এ নৃশংসতা সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা। এ হত্যার বিচার পর্যন্ত হয়নি। জেলের ভেতরে চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি শেষ করে দিতে এসব হত্যা হয়েছিল।

জিয়াউর রহমানের পর খালেদা জিয়াও গুম-খুনের রাজনীতি করেন।সিলেট থেকে আওয়ামী লীগের নির্বাচনি প্রচারণা শুরু হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সম্ভাব্য তারিখ ২০ ডিসেম্বর। হযরত শাহজালাল (রহ.)-এর মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রচারণা শুরু করবেন। শরিক ও মিত্রদের সঙ্গে আসন বণ্টনের বিষয়ে তিনি বলেন, ১৭ তারিখ পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় আছে। সময় যখন আছে, তখন অস্থির হওয়ার দরকার নেই।

এ সময়ের ভেতরে যোজন-বিয়োজন কিংবা প্রয়োজনে শেয়ারিং করব।সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুবউল আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপদপ্তর সম্পাদক সায়ম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

%d bloggers like this: