সারা দেশ

আবারও নাশকতার অভিযোগে ছাত্রদল ২ নেতা গ্রেপ্তার

আবারও নাশকতার অভিযোগে ছাত্রদল ২ নেতা গ্রেপ্তার

লাগাতার হরতাল-অবরোধে লোকসানে ব্যাপক ভাকে আর্থিক ক্ষতির সম্মূখীন হচ্ছেন ঝিনাইদহের ফুল চাষীরা। তবে আমদানী বা সরবরাহ বেশি হওয়ার জন্য নয়। বিরোধী দলগুলোর ডাকা হরতাল আর অবরোধকেই দুষছেণ কৃষকসহ ব্যবসায়ীরা।

ফুলের মৌসুমে ভালো দামের আশা করলেও রাজনৈতিক এই অস্থিরতার কারণে দাম না পেয়ে লোকসান গুনতে হচ্ছে ঝিনাইদহ সদরের গান্না ফুল বাজারের ব্যবসায়ীদের।

এ জেলার গাদা ফুলের কদর রয়েছে দেশ জুড়েই। সাজ সকালে বাইসাইকেল, মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকে ফুল নিয়ে বিক্রির জন্য বাজারে আসছেন ফুল চাষীরা। শীত মৌসুমে ফুলের ভালো দামের আশায় সারাবছর বুক বেধে থাকে চাষীরা।

কিন্তু সে আশা যেন নিরাশায় পরিনত হয়েছে। এর একমাত্র কারণ হিসেবে হরতাল ও অবোরধকেই দুষছেণ ফুল চাষী ও ব্যবসায়ীরা। অবোরধের আগেও গাদা ফুল প্রতি ঝোপা বিক্রি হয়েছে ৪’শ থেকে ৬’শ টাকা দরে।

অথচ এখন সেই ফুলের ঝোপা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা দরে। এতে চরম লোকসান গুনতে হচ্ছে ফুল চাষীদের।এমন অবস্থায় দেশের স্থিতিশীল পরিবেশের দাবি তাদের। ঝিনাইদহ গান্না বাজার ফুল ব্যবসায়ী সমিতি সাধারন সম্পাদক নজরুল ইসলাম জানান, শুধু কৃষকই না।

অবরোধের কারণে লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছে ফুল ব্যবসায়ীরাও। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছোট ছোট বাহনে ফুল পাঠাতে খরচ হচ্ছে পুর্বের চেয়ে দ্বিগুণ।

ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর উপ-পরিচালক আজগর আলী জানান, হরতাল ও অবরোধের কারনে ফুল চাষীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। তবে তাদেরকে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে নানা পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

কৃষি বিভাগের দেওয়া তথ্য মতে, জেলায় ২৫৪ হেক্টর জমিতে ফুলের আবাদ হয়েছে। ২৮ অক্টোবরের আগে গান্না ফুল বাজারে প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকার ফুল বিক্রি হতো। বর্তমানে প্রতিদিন ফুল বিক্রি হচ্ছে ১ থেকে ২ লক্ষ টাকার।

আরও খবর

Sponsered content