রাজনীতি

স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন রাঙ্গা জাতীয় পার্টিকে বললেন পরগাছা

ল থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ না করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটে দাঁড়াচ্ছেন জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব ও প্রেসিডিয়াম সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গা। আর যে দলের হয়ে রাজনীতি করেছেন দীর্ঘদিন, ‘ক্ষমতাসীন দলের ওপর নির্ভর করে’ বেঁচে থাকা সংসদের সেই বিরোধীদলটিকেই ‘পরগাছা’ হিসেবে দেখছেন এই রাজনীতিক।

সোমবার (২৭ নভেম্বর) নির্বাচন এবং দল নিয়ে এসব কথা বলেন জাপার সাবেক এই নেতা।রংপুর-১ আসন থেকে তিনবারের নির্বাচিত এই সংসদ সদস্য বলেন, জাতীয় পার্টি এখন পরগাছা দলে রূপান্তর হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের উপর ভর করে আর কতদিন? আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেই নির্বাচন করব।

জাতীয় পার্টি মনোনয়ন দিলে নির্বাচন করবেন কিনা জানতে চাইলে রাঙ্গা বলেন, আমি তো মনোনয়ন ফরম নেইনি। তারপরও মনোনয়ন দিলে পরে বলব।সোমবার (২৭ নভেম্বর) বিকালে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জন্য জাতীয় পার্টির চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করার কথা রয়েছে। দলীয় মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, ৩০০ আসনেই তারা ফরম বিক্রি করেছেন।

জাতীয় পার্টিতে দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ এবং চোয়ারম্যান জি এম কাদেরের দ্বন্দ্বে রওশন পক্ষে অবস্থান নিয়ে গত বছর আলোচনায় আসেন মসিউর রহমান রাঙ্গা। এর রেশ ধরে ১৪ সেপ্টেম্বর রাঙ্গাকে দলের সব পদ থেকে অব্যাহতি দেন জিএম কাদের।এরপর থেকে ‘রওশন বলয়ের নেতা’ হিসেবে পরিচিতি পান তিনি।

একাধিক অনুষ্ঠানে রওশন এরশাদের সঙ্গে দেখা যায় তাকে। রওশন এরশাদ আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছেন ৩ জনের জন্য। সেখানেও রাঙ্গার নাম নেই। রাঙ্গা বলেন, আমি তিনবারের সংসদ সদস্য ছিলাম, এবারও নির্বাচন করব। আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করব।গত বছরের ৩১ অগাস্ট জিএম কাদেরকে বাদ দিয়ে জাতীয় পার্টির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করেন রওশন এরশাদ।

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সংসদের বিরোধী দলীয় নেতার পদ থেকে রওশনকে সরিয়ে নিজেকে বিরোধী দলীয় নেতা করতে স্পিকারকে চিঠি দেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের।সেই চিঠিতে নিজের স্বাক্ষর প্রসঙ্গে রাঙ্গা বলেছিলেন, তিনি কোনো চিঠিতে সই করেননি। তার কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেওয়া হয়।

সেটা পরে রওশন এরশাদকে সংসদের বিরোধী নেতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার চিঠিতে ব্যবহার করা হয়েছে। এরপর রাঙ্গাকেও বহিষ্কার করা হয়। পরে রওশন এরশাদের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটিতে যোগ দেন রাঙ্গা।জেলা জাতীয় পার্টির রাজনীতি থেকে উঠে আসা রাঙ্গা ২০০১ সালে রংপুর-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

পরে ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনয়নে তিনি একই আসন থেকে ফের এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং সেবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।এরপর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২০১৮ সালে একই আসন থেকে তৃতীয়বারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন রাঙ্গা।

আরও খবর

Sponsered content

%d bloggers like this: