13 January 2024 , 3:06:45 প্রিন্ট সংস্করণ
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে বাস্তবিক পক্ষে দ্বিতীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা পেয়েছে উল্লেখ করে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা নতুন নির্বাচনের দাবি তুলেছেন। তারা বলেছেন, মানুষ ভোট বর্জন করেছে, কেন্দ্রগুলো ছিল বিরানভূমি। পাঁচ শতাংশ ভোটও পড়েছে কিনা সন্দেহ। সিইসি ঘুম থেকে উঠে ৪১ শতাংশ ভোটের ঘোষণা দিয়েছেন।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘প্রহসনের ডামি নির্বাচন জনগণ মানে না, অবিলম্বে অন্তর্বর্তীকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন দিতে হবে’ দাবিতে এক সমাবেশে তারা এসব কথা বলেন। গণতন্ত্র মঞ্চ এই সমাবেশের আয়োজন করে।নেতারা বলেন, যেসব দল নির্বাচনে অংশ নিয়েছে তারাও বলছে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি।
সরকারি দলের জোটসঙ্গীরাসহ নিজেদের লোকেরাও বলেছেন কারচুপি করে ব্যালট বাক্স ভর্তি করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের ভোটাররাও বেকুব বনে গেছেন- ‘ভোট দিলাম না কিন্তু এত ভোট পড়ল কখন’। মানুষের ভোটাধিকার নিয়ে পরপর তিনবার তামাশা করল আওয়ামী লীগ।নেতারা বলেন, দেশের মানুষ এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে।
গণতান্ত্রিক বিশ্বও এই নির্বাচন গ্রহণ করেনি। সেই ভয়ে এমপি-মন্ত্রীরা দ্রুত শপথ নিয়েছেন। তাদের ভয় কখন গনেশ উল্টে যায়। জনগণের আন্দোলনের মুখেই এই সরকারকে বিদায় নিতে হবে।তারা বলেন, সরকারের সিন্ডিকেট হাজার কোটি টাকা লুট করে এখন দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বাংলাদেশে দুর্বৃত্তের সংজ্ঞা বদলে গেছে।
এরা এখন ভোট চুরি, টাকা পাচার ও ব্যাংক লুট করে। মন্ত্রীরা শপথ নেওয়ার সঙ্গেই বাজারে চাল-ডাল পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি শুরু হয়েছে। জনগণ এই দৌরাত্ম্য মানবে না। অচিরেই নতুন গণশক্তি রাজপথে অবস্থান নেবে। সমাবেশে বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু প্রমুখ।