খেলাধুলা

এবার বাবর আজম অধিনায়কত্ব হারাচ্ছেন

বিশ্বকাপে বাবর আজমের নেতৃত্বে পাকিস্তান ৯ ম্যাচের পাঁচটিতে পরাজিত হয়েছে। এর মধ্যে আহমেদাবাদে এক লাখ সমর্থকদের সামনে ভারতের কাছে ৭ উইকেটে বিধ্বস্ত হতে হয়। এ ছাড়া প্রথমবারের মতো আফগানিস্তানের বিপক্ষেও পরাজিত হয়েছে দ্য গ্রিন ম্যানরা। বিশ্বকাপে সব মিলিয়ে ৪ হাফ-সেঞ্চুরিসহ ৪০ গড়ে ৩২০ রান করেছেন বাবর।

ব্যাটারদের র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে থেকে বিশ্বকাপ শুরু করলেও মাঝপথে ভারতীয় ব্যাটার শুভমান গিলের কাছে শীর্ষস্থান হারিয়েছেন তিনি। এই মুহূর্তে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সব ফরম্যাট মিলিয়ে বাবরের রানসংখ্যা প্রায় ১৩ হাজার।তবে ভারতের মাটিতে ফিল্ডিং সেট-আপে আগ্রাসনের অভাবে বাবরের অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

ক্রিকেট পাকিস্তানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচের আগেই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডে এ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। সাদা বলের ক্রিকেটে বাবর আজমের অধিনায়ক থাকার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।চেয়ারম্যান জাকা আশরাফের কাছে কেউ কেউ বাবরকে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে অধিনায়ক রাখার পরামর্শ দিয়েছে।

খুব দ্রুত এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। কিছু সূত্র দাবি করেছে, বোর্ড এমন সিদ্ধান্ত জানানোর আগেই পদত্যাগ করতে পারেন বাবর।এর বাইরে বিদেশি কোচদের প্রতি আগ্রহ কমানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে পিসিবিকে। সাবেক ক্রিকেটারদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে এ ব্যাপারে। আবার বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বাজে পারফরম্যান্সের দায় সাবেক এক ক্রিকেটারের ওপরই দেওয়া হচ্ছে।

দাবি করা হয়েছে অধিনায়ক বাবর ও প্রধান নির্বাচক ইনজামাম-উল-হক অন্যদের কথাকে গুরুত্ব না দিয়ে নিজেদের পছন্দের খেলোয়াড় বেছে নিতেন। এশিয়া কাপের পর মিসবাহ-উল-হক ও মোহাম্মদ হাফিজ ক্রিকেট কমিটির মিটিংয়ে শাদাব খানকে বসিয়ে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। যে মিটিংয়ে সমালোচনার ভয়ে যাননি ইনজামাম।

যদিও পাকিস্তানের টিম ডিরেক্টর মিকি আর্থার বলেছেন, আমি বাবরের পক্ষে, সে আমার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। সে এখনও বয়সে তরুণ, তাকে আরও কিছুদিন অধিনায়কত্ব করার সুযোগ দেওয়া উচিত। ২০২০ সাল থেকে টেস্ট ও ওয়ানডেতে বাবর পাকিস্তানের অধিনায়কত্ব করে আসছেন। আর্থার বলেন, সে এখনও শেখার মধ্যে আছে। আমরা সবাই জানি সে বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটার। অধিনায়ক হিসেবেও সে প্রতিদিনই শিখছে।

তাকে আরও কিছুদিন কাজের সুযোগ করে দেওয়া উচিত। এই পদে থাকলে ভুল হবেই। যতক্ষণ শেখার মধ্যে আছে, ততদিন এই ধরনের ভুল করা বড় কোনো অন্যায় নয়।সাত বছরের মধ্যে এই প্রথমবারের মতো ভারতে খেলতে এসেছে পাকিস্তান। ম্যাচ ও অনুশীলনের বাইরে প্রায় বেশিরভাগ সময়ই নিরাপত্তার কারণে তাদেরকে হোটেল রুমেই বন্দী থাকতে হয়েছে।

কোনো সময় হোটেলের বাইরে যেতে হলে নিরাপত্তা কর্মীদের অতিরিক্ত তৎপরতা দেখা গেছে।এদিকে রমিজ রাজা বলছেন, বাবরের ওপর চাপ এতটাই বেশি যে তাকে হয়তো অধিনায়কত্ব ছাড়তে হতে পারে। প্রত্যাশানুযায়ী দেশেও পুরো দলকে নিয়ে প্রতিক্রিয়া খুব একটা ভালো না। পাকিস্তানি গণমাধ্যমও বিশেষ কিছু খেলোয়াড়কে টার্গেট করে রিপোর্ট করেছে, তাদের মধ্যে বাবর আজম অন্যতম।

এটা যেহেতু বিশ্বকাপ, এখানে চাপ থাকবেই। সমস্যা হচ্ছে, এই দলটির মধ্যে আধুনিক ক্রিকেট খেলার সব ধরনের সম্ভাবনা রয়েছে, কিন্তু তারা সময় মতো সেই সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারছে না।