লাইফ স্টাইল

শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা

জন্মের পর থেকেই শিশুর শারীরিক বিকাশের পাশাপাশি মানসিক বিকাশ ও হতে থাকে। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সঠিকভাবে বেড়ে উঠতে শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি প্রয়োজন মানসিক সুস্থতাও।

শারীরিক শক্তি ও মানসিক চিন্তা-চেতনা, বুদ্ধিমত্তা বিকাশে লেখাপড়ার পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখে খেলাধুলা। এটি শিশুদের শারীরিক, জ্ঞানীয়, সামাজিক এবং মানসিক বিকাশসহ বিভিন্ন উপায়ে শিখতে এবং বেড়ে উঠতে সাহায্য করে। খেলাধুলা শিশুদের সৃজনশীলতা এবং কল্পনা বিকাশেও সহায়তা করে।

চলুন জেনে নেই একজন শিশুর জীবনে খেলাধুলার গুরুত্ব

১. জ্ঞান-ভিত্তিক উন্নয়ন : খেলা শিশুদের সমস্যা সমাধানের দক্ষতা, সৃজনশীলভাবে চিন্তা করার ক্ষমতা এবং তাদের শেখার পাশাপাশি স্মৃতিশক্তি বিকাশ করতে সাহায্য করে। এটি তাদের চারপাশের জগৎ সম্পর্কে জানতেও সাহায্য করে।

২. সামাজিক এবং মানসিক বিকাশ : খেলার মাধ্যমে শিশুরা শিখতে পারে কীভাবে অন্যদের সাথে যোগাযোগ করতে হয়, সহযোগিতা করতে হয় এবং আদান-প্রদান করতে হয়। এটি তাদের আত্মবিশ্বাস এবং আত্মসম্মান বিকাশে সহায়তা করে।

৩. সৃজনশীল উন্নয়ন : খেলাধুলা শিশুদের সৃজনশীলতা এবং কল্পনা বিকাশে সহায়তা করে। এটি তাদের বিভিন্ন ভূমিকা এবং পরিস্থিতি অন্বেষণ করতে এবং নতুন ধারণা তৈরিতে সাহায্য করে।

৪. শারীরিক বিকাশ : ক্রিকেট, ফুটবলের মতো ছুটাছুটি করার সুযোগ রয়েছে এমন খেলাধুলার মাধ্যমে আস্তে আস্তে শিশুর শরীর, হাড় ও মাসল শক্তিশালী হয়। তারা দ্রুত বেড়ে ওঠে। শিশুদের দেহ-মন গঠন এবং সুস্থ জীবনের জন্য অত্যন্ত জরুরি খেলাধুলা।

৫. আবেগ নিয়ন্ত্রণ : খেলাধুলার মাধ্যমে শিশুরা নানা পরিস্থিতি সামাল দিতে শেখে। আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। পরাজয় মেনে নিতে শিখে। বাইরে খেলাধুলা ছাড়া এটা সম্ভব না।

%d bloggers like this: